সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পদ শূন্য না থাকলে ওই বিষয়ের নিবন্ধন পরীক্ষা না নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আগামী বছরের শুরুতে সংস্থাটির সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) এনটিআরসিএ’র পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে সংস্থাটির এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘অনেকে নিবন্ধন সনদ অর্জন করলেও চাকরি পাচ্ছেন না। বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ওই পদ শূন্য নেই। একজন প্রার্থী প্রিলি, রিটেন ও ভাইভায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি পাবেন না; এমন হওয়া ঠিক নয়। এজন্য যে বিষয়ের পদ শূন্য থাকবে না, সে বিষয়ে নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন না করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘নিবন্ধন পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে এগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সনদ অর্জনের পর প্রার্থীদের যেন বসে থাকতে না হয়, আমরা সেই চেষ্টা করছি।’
এদিকে ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি আগামী বছর প্রকাশ করতে চায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এজন্য আগামী বছরের শুরুতে সভা করবে সংস্থাটি। এরপর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে সংস্থাটির পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার এক কর্মকর্তা জানান, ‘নিবন্ধন পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। সেজন্য ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি চলতি বছর প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আমাদের একটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সভায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘চলতি বছর ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা কম। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে।’
প্রসঙ্গত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা অর্জন করতে হয় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ১৮টি নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। এই নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে এক লাখের বেশি প্রার্থীকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন