নির্বাচনটি গত কয়েক বছরের আর সব নির্বাচনের মতোই সবার অলক্ষ্যে হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন ঘিরে মানুষের মধ্যে এক সময় যে চাঞ্চল্য দেখা যেত গত কয়েক বছরে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের সকল নির্বাচনের এক প্রকার কবর রচনার পর স্বাভাবিকভাবেই সেই আগ্রহে ভাটার টান পড়েছে। নির্বাচন আসে, নির্বাচন যায়, সরকারি দল প্রচার প্রচারণা চালায়, ভোটের মাঠে সরকারি দলের বড় নেতারা ভোটার আর অন্য প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখায়, নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখলে রাখে সরকারি দল আর ভোট পড়ুক কিংবা নাই পড়ুক জয়ী হয় সরকারি দলের প্রার্থী। নির্বাচন শেষে ফল ঘোষিত হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে সরকারি দল, সঙ্গে নির্বাচন কমিশন। এই মোটা দাগে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ভোটের চিত্র। কিন্তু ব্যতিক্রম হলো। নিকট অতীতের চিরচেনা রূপ বদলে ভোট স্থগিত করলো নির্বাচন কমিশন। বলছি, গত ১২ই অক্টোবর হয়ে যাওয়া গাইবান্ধা উপনির্বাচনের কথা। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় পার্টি, বিকল্প ধারাসহ কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশগ্রহণ করে।
এক পর্যায়ে সরকারি দল ছাড়া আর সবাই ভোট বর্জন করতে বাধ্য হয়। সিইসি স্বয়ং সিসিটিভির ফুটেজ দেখে প্রাথমিক ভাবে ৫১ টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ এবং পরে পুরো নির্বাচন স্থগিত করে দেয়।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিকদের তিনি বলেন উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আইন ভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। মজার বিষয় হলো ভোট নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেছে বহুদিন হলো। গত কয়েক বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা এমন ভাবে ধ্বংস করা হয়েছে যে, যে নির্বাচন একসময় ছিল উৎসবের মতো সেই নির্বাচনে মানুষ এখন ভোট দেয়া দূরেই থাকুক নির্বাচনের কোনো খবরেই ন্যূনতম উৎসাহ বোধ করে না। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে গাইবান্ধা উপনির্বাচনটি একটি বড় ব্যতিক্রম তো বটেই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো নির্বাচন স্থগিতের মতো অভিনব পদক্ষেপ নিয়েও কারও মন পেলো না ইসি। স্থগিত হতে না হতেই আওয়ামী লীগের তরফ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন “গতকালকে (গত বুধবার) গাইবান্ধায় যেটা সংঘটিত হয়েছে, সেখানে প্রিজাইডিং অফিসারদের ভাষ্যমতে ৫১টি ভোটকেন্দ্র ঢাকা থেকে বন্ধ করা হয়েছে। এটা তারা করতে পারে। কিন্তু ঢাকায় বসে সাংবাদিকদের নিয়ে ওখানকার গোপন বুথের যে ছবি এখান থেকে চোখে ধরা পড়েছে...তার ভিত্তিতে কেন্দ্র (ভোট) বন্ধ করা কতোটা যৌক্তিক, কতোটা বাস্তবসম্মত, কতোটা আইনসম্মত, এই ব্যাপারে আমি নির্বাচন কমিশনকে বিনয়ের সঙ্গে ভেবে দেখতে বলবো।”
অবশ্য সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের আগেই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘গাইবান্ধায় নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রেই নৈরাজ্য হয়নি। ঢাকায় নির্বাচন ভবনে বসে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এতগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইসি কীভাবে নিলো, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়’। অর্থাৎ সাধারণ সম্পাদক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য মোটা দাগে একই। তাদের মতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নির্বাচন স্থগিত করা যুক্তিযুক্ত নয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নির্বাচনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত যদি নাই নেয়া যায় তাহলে জনগণের করের টাকার শ্রাদ্ধ করে সিসিটিভি কেনার যৌক্তিকতা কী সে প্রশ্ন সরিয়ে রেখেই বলছি- ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি কেন্দ্রে অর্থাৎ এক- তৃতীয়াংশের বেশি কেন্দ্রে যদি ‘ডাকাত’ পাওয়া যায় তাহলে সেই নির্বাচন স্থগিত না করে কমিশনের উপায় কী? এই একটি উপনির্বাচনে ইসি’র নির্বাচন স্থগিত করা নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ১। অতীত অভিজ্ঞতা এবং ইতিহাস থেকে ইসি কী জানতো না, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? এর ঠিক আগের কমিশনের সদস্য প্রয়াত মাহবুব তালুকদার সাহেব কী স্পষ্ট ভাবে বলে যান নাই যে নির্বাচন এখন আইসিইউতে আর গণতন্ত্র লাইফ সাপোর্টে? ২। নির্বাচন কেন্দ্রের এই ডাকাতদের ব্যাপারে কমিশন শপথ নেয়ার পরপরই সতর্ক করেছিলেন।
কিন্তু শপথ নেয়ার পর থেকে আজ অবধি এই ডাকাতদের প্রতিরোধে ইসি কী ব্যবস্থা নিয়েছে কিংবা আদৌ কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কী? ৩। সিসি টিভি ক্যামেরায় যে ডাকাতদের ইসি ভোটকেন্দ্রে দেখেছে, নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কী তারা অদৃশ্য ছিল? যদি তা না থাকে, তবে কেন তাদের তরফ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না? ৪। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ বলছে- নির্বাচনকালে কমিশনকে সাহায্য করা সরকারের কর্তব্য হবে, কিন্তু সরকার সেই সাহায্য না করলে কী হবে সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। আর তাই প্রশাসন ও পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকে যদি ডাকাতদের সাহায্য করে তাহলে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিতে পারে কিংবা আদৌ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে কী? ৫। কমিশন যদি একটা আসনের উপনির্বাচন সুষ্ঠু করতে না পারে এবং বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় তাহলে ৩০০ আসনে যখন একযোগে জাতীয় নির্বাচন হবে তখন কমিশন কী করবে? ৬। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো কমিশন আদতে কী চেয়েছিল? সরকারের চাওয়াই বা কী ছিল এই নির্বাচনকে ঘিরে? শেষ প্রশ্নটি দেখে অনেকেই হয়তো ভ্রূ কুঁচকে ভাববেন এ আবার কেমন কথা? কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া আর কী চাইতে পারে? প্রশ্নটি উঠছে এ কারণেই যে, এই কমিশনের অধীনেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচন দেখেছি আমরা। এক এমপি বাহার পুরো কমিশনকে হাইকোর্ট দেখিয়ে ছেড়েছিল। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও এলাকা থেকে সরানো যায়নি এমপি সাহেবকে।
আওয়ামী লীগ অবশ্য জোর দাবি করে এলাকা থেকে এমপি বাহার কোনো নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করেননি। এমনকি টকশোতে এমনও বলা হয়েছে যে, একজন আইনজীবী হিসেবে আমার এ সংক্রান্ত বক্তব্য আমার অজ্ঞতার পরিচয়ই বহন করে। এ বিষয়ে সে সময় একটা কলাম লিখেছিলাম আমি। সেই কলামে খুব পরিষ্কারভাবে বলেছিলাম কোন আইন কীভাবে ভঙ্গ করেছেন এমপি সাহেব এবং এই আইন ভঙ্গের কারণে ঠিক কী ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন। কমিশন কী করতে পারে, এ সংক্রান্ত একটি আইন প্রণীত হয় ২০১৬ সালে। সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ২২ ধারা মতে, সরকারের একজন সুবিধাভোগী হিসেবে ওই সংসদ সদস্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এই ধারা লঙ্ঘন করলে নির্বাচন কমিশন ওই বিধিমালার ৩২ ধারা অনুযায়ী তাৎক্ষণিক লিখিত আদেশ দ্বারা যে প্রার্থীর পক্ষে সংসদ সদস্য প্রচারণা চালিয়েছেন, কাজ করেছেন কিংবা প্রভাব বিস্তার করেছেন, তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারেন।
এমনকি নির্বাচন স্থগিত করে দিতে পারেন। অথচ নির্বাচন কমিশন বারবারই তাদের অসহায়ত্ব জানিয়ে বলছেন এমপি বাহারের এই নির্বাচনী আদেশ পালন না করায় নির্বাচন কমিশনের নাকি কিছুই করার নেই। স্ব-আরোপিত আসহায়ত্ব আর কাকে বলে! উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন কী করতে পারতো তার একটা চমৎকার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এক-এগারোর সময়কার নির্বাচন কমিশনের একজন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘বাহারকে নির্বাচনী এলাকার বাইরে পাঠাতে নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি। তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি। বাহার যদি না যান, তাহলে কমিশন চাইলে নির্বাচন স্থগিত করে দিতে পারতো। সেটা করেনি। আমরা কমিশনে যখন ছিলাম, তখন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে এই প্রক্রিয়ায় এলাকার বাইরে পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলাম। তিনি সেখানে গিয়ে দরবার বসিয়েছিলেন। তাকে বলেছিলাম, আপনি সরে না গেলে নির্বাচন স্থগিত করে দেবো। তিনি সরে যেতে বাধ্য হন। তখন তো এই সরকারই ছিল’’ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থির প্রার্থিতা বাতিল বা নির্বাচন স্থগিতের মতো কোনো পদক্ষেপ কিন্তু আমরা ইসিকে নিতে দেখি নাই। শুধু তাই নয়, ইতিহাসে বেশ কয়েকটি মেরুদণ্ডহীন, অযোগ্য নির্বাচন কমিশন দেখার অভিজ্ঞতা আমাদের থাকলেও এই প্রথম একটি কমিশন আমরা পেয়েছি যারা অবলীলায় মিথ্যাচার করেছে।
ইসি’র সঙ্গে আলোচনায় যে রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএমের বিপক্ষে কিংবা শর্ত সাপেক্ষে ইভিএম ব্যবহারের কথা বলেছে ইসি নির্দ্বিধায় তাদের মতকে ইভিএমের পক্ষের মত বলে চালিয়ে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার একটি গণমাধ্যমকে বলেন ‘অতীতে নির্বাচন কমিশনকে মানুষের চোখে ধুলা দেয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে কমিশন প্রতারণা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত পাল্টে দেয়ার ঘটনা অবিশ্বাস্য।’ এর মধ্যে মিডিয়ায় এসেছে বাতিল হওয়া কেন্দ্রগুলোর ৫১ জন প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচন সঠিক হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের বিবৃতি দেয়া কাগজের ছবি মিডিয়ায় এসেছে। এসব প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেয়া বয়ানে, ভোট সুষ্ঠুভাবে চলছিল উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বন্ধ করা হয়েছে বলে বর্ণনা দিয়েছেন। অথচ এরাই নির্বাচন কমিশনে দেয়া চিঠিতে বলেছেন, সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় ভোট বন্ধ করা হয়েছে। ইসিতে পাঠানো চিঠি গোপন থাকলেও ইউএনওকে দেয়া প্রিজাইডিং অফিসারদের চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে মনে পড়লো কিছুদিন আগে ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে মিটিংয়ে একজন কমিশনারকে ডিসি ও এসপিদের বাধার মুখে বক্তব্য বন্ধ করে বসে যেতে হয়।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে ১৬ ধাপ নিচে থাকা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এহেন আচরণ পরিষ্কার বুঝিয়ে দেয় এই রাষ্ট্রকাঠামোর গোড়াতেই পচন ধরেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ বা প্রতিকার চেয়ে কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানা যায় না। ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যেতে বিরোধীদের প্রলুব্ধ করার জন্য রাকিব কমিশনের অধীনে সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু করা হয়েছিল যাতে বিএনপি’র প্রার্থীরা জিতেছিল। কৌশল খুব পরিষ্কার বিএনপি’র আস্থা অর্জন করে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসা। আর বিএনপি নির্বাচনে গেলে কী হতো, সেটা বোঝা খুব সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানেরই বিষয়। আগের বার বিএনপি যেমন সেই ফাঁদে পা দেয়নি, তেমনি এবারও বিএনপি এমন ফাঁদে পা দেয়ার সম্ভাবনা নেই ন্যূনতমও। সেটা না হলেও ক্ষমতাসীনরা গাইবান্ধা নির্বাচনের বয়ান ব্যবহার করবে বিদেশিদের সন্তুষ্ট করতে। আমরা পছন্দ করি বা না করি পশ্চিমারা ‘উন্নয়ন সহযোগী’ নাম নিয়ে বাংলাদেশের আশু নির্বাচন নিয়ে কথা বলবেনই। তখন নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলাপ আসলেই সরকার গাইবান্ধা দেখিয়ে যা বলবে সেটা এর মধ্যেই মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট বন্ধের ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তে প্রমাণ হয়েছে, কমিশনই সর্বেসর্বা, তাদের সিদ্ধান্তই সবার উপরে।
ভোট বন্ধে প্রমাণ হয়েছে, বিএনপিসহ যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে, তাদের এ কথার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তার এই মন্তব্য শুনে আমার কেবলই মনে হলো অবশেষে অরিন্দম কহিলা বিষাদে। পশ্চিমারা এমন বক্তব্যে আস্থা আনবেন কিনা জানি না, তবে এদেশের সাধারণ মানুষ এমন বক্তব্যকে শুধু উপহাসই করে। তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ভালো। তাই গাইবান্ধা উপনির্বাচনে যা হলো সেটাকে তারা আই ওয়াশ কিংবা পাতানো খেলার বেশি কিছু বলে করে না। তারা এটাও জানে সামনে এমন খেলা আসছে আরও। তাই তারা বরং ছুড়ে দিচ্ছে যৌক্তিক প্রশ্ন- নির্বাচন কমিশনের পরের খেলাটা কী?
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন