
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তাদের নাম চুয়েট শাখা ছাত্রদলের সদ্য প্রকাশিত খসড়া কমিটিতে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ৯টি নোটিশে শিক্ষার্থীদের ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকায় এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে নোটিশে। ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরে সশরীর উপস্থিত হয়ে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চুয়েট শাখার ৯ সদস্যের একটি খসড়া কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। কমিটিতে চুয়েটের শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। এর প্রতিবাদে রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও এমন কমিটি গঠনের তীব্র নিন্দা জানান এবং কমিটিতে থাকা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলো- ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটির সভাপতি তড়িৎকৌশল বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিফ রাশেদ এবং সাধারণ সম্পাদক জৈব চিকিৎসা প্রকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তৌফিক হাসান চৌধুরী। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, সহসভাপতি চন্দন কুমার দাশ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌসিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান আল সাবিত ও সাখাওয়াত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব হোসাইন এবং প্রচার সম্পাদক আহমেদ ইনতিসার।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট চুয়েটের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।