Image description
 

রাজধানীতে পৃথক পৃথক ঘটনায় নারী-কিশোরীসহ গলায় ফাঁস দেওয়া পাঁচজনের মরদেহ এসেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে রাতের মধ্যে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

কামরাঙ্গীরচর

কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমরান হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে খালপাড় অটোস্ট্যান্ড এলাকার একটি বাসার দোতলা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

তার বাবা মো. আমজাদ হোসেন জানান, আমার মেয়ে একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করতো। মাদরাসায় পড়ালেখা ভালো লাগতো না। স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য আমার কাছে বললে আমি তাকে শাসন করি। আমার ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

চকবাজার

চকবাজারে রাকিব নামে এক ওয়ার্কশপ শ্রমিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

 

চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জিল্লুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে চকবাজারের ওয়াটার রোডে ষষ্ঠ তলা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাবো থানায়।

এছাড়া চকবাজারেই সাজ্জাদ আলী নয়ন নামে এক ফটোগ্রাফার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

 

চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাউসার জানান, আমরা খবর পেয়ে চকবাজারের হোসনি দালান ১৭ নম্বর মিয়া গলি বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা জানতে পারি পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহের জেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

ভাটারা

ভাটারায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ইউনুস আলী নামে এক রিকশাচালক।

 

ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমরা খবর পেয়ে নূরেরচালা বোটঘাট এলাকার একটি বাসা থেকে ইউনুস আলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা জানতে পেরেছি হতাশাগ্রস্ত হয়ে তার নিজরুমে সিলিং ফ্যানে রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তবুও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

হাজারীবাগ

হাজারীবাগে রূপা আক্তার নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

 

হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, রূপা নামের এক গৃহবধূ নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকে। পরে তার শাশুড়ি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।