গত ২০ জানুয়ারি থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১৫ দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার মোট ৪৭ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ১০ লাখের বেশি মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর জানান, ১০ লাখ ৩৯ হাজার ২২০ জন মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যা ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে। নতুন করে ভোটার হবে এমন ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৪ জন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ সংক্রান্ত সোমবারের তথ্য যোগ না হওয়ায় এই সংখ্যা কম বেশি হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি গ্রহণের কাজ।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এর আগে ভোটার তালিকা হালানাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।
ভোটার তালিকা হালানাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হবে...
ক) ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি।
খ) জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি।
ঘ) এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
ঙ) ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)।
ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
ক) নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্মনিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে।
গ) স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে।
ঘ) কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।
এক সতর্কবার্তায় ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।