Image description

ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য রুকনদের দাওয়াতি কার্যক্রম সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতাত্তোর সময়ে জামায়াতকে নিয়ে নানাবিধ ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করা হলেও সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই জনগণের সমর্থন নিয়ে আমরা লক্ষ্যের দিকে আপসহীনভাবে এগিয়ে চলছি। 

সোমবার রাতে স্থানীয় একটি মিলনায়তনে বিমানবন্দর থানা জামায়াতের বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

সেলিম উদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৫ দশক অতিক্রান্ত হলেও আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নগুলো প্রায় ক্ষেত্রে অধরায় রয়ে গেছে। যুদ্ধোত্তর দেশ ও জাতি গঠনে যেখানে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের আবশ্যকতা ছিল, সেখানে স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারগুলো নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে জাতিকে বিভক্ত করেছে। তাই আমাদের স্বপ্নপূরণ বারবারই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। 

তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছরে জামায়াতের নানাবিধ দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। এমনকি কথিত বিচারের নামে শীর্ষ নেতাদের নির্মমভাবে হত্যা করে দেশের পবিত্র জমিনকে কলঙ্কিত ও রক্তাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই সফল হয়নি বরং জামায়াত লক্ষ্য পানে দুর্বার গতিতে প্রত্যয়ের সঙ্গে এগিয়ে গেছে। 

রাজনীতিতে নেতিবাচক ধারার পরিবর্তে ইতিবাচক ধারা প্রবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অন্যথায় জাতি হিসাবে আমরা বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো না।

তিনি আরও বলেন, যারা দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতির মুখরোচক কথা বলেছিলেন, তাদের অযোগ্য, ব্যর্থতা ও দুর্নীতির জন্য সম্ভবনাময় দেশের জনগণ আজকে হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে জামায়াত দেশের বিভিন্ন সেক্টরে সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে গোটা দেশবাসীর আশা ও প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।  

জামায়াতের প্রভাবশালী এই নেতা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রুকনদের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে দেশের মানুষ আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল (সা) প্রদর্শিত পথে আহবান জানানো। একইসঙ্গে আমাদের জনহিতকর কার্যক্রমের ফিরিস্তিও জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। আগামী দিনে দেশ-জাতীর কল্যাণে জামায়াতের পরিকল্পনার আলোকে জনগণকে সংগঠিত করতে করার কোন বিকল্প নেই। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য রুকনদের দাওয়াতি কার্যক্রম সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।

থানা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা এনামুল হক শিপনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সুজারুল হক সুজনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মাওলানা মহিব্বুল্লাহ।