নাটোরের বড়াইগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ও উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানাসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েনবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কয়েনবাজারে স্থানীয় দলীয় কার্যালয় খোলার জন্য একটি দোকান ভাড়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানের সঙ্গে নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমানের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে রবিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে দুই প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান পক্ষের আহতরা হলেন, মিজানুর রহমান (৩৫) ও তার বাবা মো. জিন্নাহ (৬৫), ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সুজন আহমেদ (৩৪), শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (৪৫), রুবেল হোসেন (২৮), কৃষক দলের আজগর আলী (৬৫), ছাত্রদল নেতা সোহেল (২৪), শুভ (২২), জুয়েল রানাসহ (২২) অন্তত ১২ জন।
ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান পক্ষের আহতরা হলেন, উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানা (৫৭), বিএনপি নেতা নাসিমউদ্দিন (৩০), সাইদুল ইসলাম (৫০) ও সাইফুল ইসলাম (৫২), ছাত্রদল নেতা হৃদয় হোসেনসহ (২৪) অন্তত ৮ জন।
আহতদের মধ্যে জিন্নাহ, রুবেল ও হৃদয়কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল রয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।