Image description
 

বিজিবি-বিএসএফের বৈঠকের পর বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কের উত্তেজনা আরও বাড়বে নাকি শিথিল হতে থাকবে সেটা নিয়েই চলছে জল্পনা কল্পনা। কেননা বাংলাদেশ তথা বিজিবি এই বৈঠকে শিরদাড়া শক্ত করে চোখে চোখ রেখে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।অন্যদিকে হাসিনা সরকারের আমলে ভারত তথা বিএসএফ যে বড়ভাই সুলভ শাসনের ভাব নিয়ে কথা বলত সেটা থেকে সরে আসবে কি না তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এই বৈঠক যদি উত্তেজনা তৈরি করে তাহলে কী হবে দুই দেশের?সম্পর্কে রকমফের সেটা নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষও।পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করার জন্য বিএসএফের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। একের পর এক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে বিএসএফ। বারংবার তাঁদের এমন কাজে ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে গেছে বিজিবি। সীমান্ত হত্যা, ভূমিদখল, শূন্য রেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বিএসএফের তাণ্ডব যেন লেগেই আছে।তবে সীমান্তের মাটি রক্ষায় এক বিন্দুও ছাড় দেওয়া হবে না, একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিজিবি।৫ আগস্টের পর সীমান্ত ইস্যু নিয়ে বেশ উত্তপ্ত ছিল বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক।

 

আগামী ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি চারদিন ভারতের নয়াদিল্লিতে ৫৫ তম বিজিবি বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ২৯ জানুয়ারি দুপুরে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।কোন বিষয় প্রাধান্য পাবে৷ এ বারের আলোচনায় উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন বৈঠকে বিএসএফের সীমান্ত হত্যা, গুলি বন্ধ, সীমান্তে ভারতীয়দের ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারির বিষয়গুলো বন্ধে জোর দেবে বাংলাদেশ। সীমান্তে বাংলাদেশকে না জানিয়ে অবকাঠামো ও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০১০ সালে যে অসম চুক্তি হয়েছিল সেটি ধারা সংশোধনেরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।বৈঠকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি বলেন, সাম্প্রতিক ইস্যুসহ অন্য কোন ইস্যুতে ছাড় দেবে না বাংলাদেশ।এদিকে বিজিবির এমন কঠোর হুঁশিয়ারি আর মেরুদন্ড শক্ত করে ভারতের সঙ্গে কথা বলার প্রত্যয় শুনে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা।ভারতের তাঁবেদারি আর নয়। কিন্তু মা মাটিকে রক্ষায় ঠিক কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা।