Image description
 

আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে দেশি-বিদেশি মুসলিম উম্মাহদের ইসলামি এই মহাসম্মেলন চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এদিন আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে প্রথম পর্ব।

এবারের বিশ্ব ইজেতেমা হবে তিন পর্বে। এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। প্রথম পর্বে অংশ নেবেন শোরায়ী নেজামের অনুসারীরা।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। এই দুই পর্বে অংশগ্রহণ করবেন মাওলানা জোবায়েরপন্থিরা।

এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে তৃতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। সেখানে অংশগ্রহণ করবেন সাদপন্থিরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

এবারের আয়োজনকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। মুসল্লিদের পারাপারের জন্য তুরাগ নদের ওপর সেনাবাহিনী পাঁচটি এবং বিআইডব্লিউটিএ একটি অস্থায়ী পন্টুন ব্রিজ নির্মাণ করেছে।

মুসল্লিদের অজু, গোসল ও খাবারের পানি সরবরাহ, রান্নার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করে দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে অর্ধশতাধিক ক্যাম্প স্থাপন করেছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও সেবা সংস্থা।

তবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এবারের ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য পুরো ৬৪টি জেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করবেন গাজীপুর, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঢাকার একাংশসহ মোট ৪১ জেলার মুসল্লিরা। দ্বিতীয় পর্বে সিলেট, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও ঢাকার একাংশসহ ২২ জেলার মুসল্লি অংশ নেবেন।

দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজনের কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, মুসল্লিরা ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে থেকেই তবলিগের মেহনত করতে চান। তাদের সংখ্যা এত বেশি যে ইজতেমা মাঠের ১৬০ একর জায়গায় অবস্থান করা কষ্টদায়ক। দুই পর্বে ইজতেমা হওয়ায় তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে।

(ঢাকাটাইমস/