Image description

আজির উদ্দিনকে ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসামি সেজে আদালতে জামিন আবেদন করতে বলেন এক মামলার আসামি তাঁরই আপন ভাই নাজমুল হোসেন। সে অনুযায়ী আবেদন করলেও চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। আদালতের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে আজ সোমবার দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আজির ও নাজমুলের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বালাপাড়ায়। আজ তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে মামলা করেছেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হক। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নূরে খোদা এসব তথ্য জানিয়েছেন। আসামি নাজমুল পলাতক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানায় করা প্রতারণার একটি মামলার এজাহার ও চার্জশিটভুক্ত আসামি নাজমুল। তাঁর ভাই আজির ওই মামলার আসামি সেজে ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এ দিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান আদালত। কারাগারে যাওয়ার পর ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের ডেটাবেজে তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, আজির উদ্দিন জামিন আবেদনে নিজেকে ‘নাজমুল হোসেন’ পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর এ তথ্য যাচাই করেন আইনজীবী টি আর খান তাহিম। এরপর প্রতারণার ঘটনা অবগত করে সংশ্লিষ্ট আদালতে চিঠি পাঠানো হয়।

সোমবার করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নাজমুল হোসেনের কথামতো ভালো চাকরির লোভে এজলাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন আজির। তাঁর পক্ষে আইনজীবী টি আর খান তাহিম কর্তৃক ১০ ডিসেম্বর ওকালতনামায় আজিরের সঙ্গে নাজমুলও সই করেন। দুই আসামিই পরস্পর ভাই। নাজমুল হোসেন না হয়েও ওকালতনামায় ‘নাজমুল হোসেন’ হিসেবে সই করে আদালতে জাল ওকালতনামা দিয়েছেন আজির, যা পেনাল কোর্ডের ২০৫ ও ৪৬৬ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।