সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে বরিশালে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল মহানগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
খবর পাওয়ার পর বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভিড় করেন নেতাকর্মীরা। দলীয় কার্যালয়গুলোতে কুরআন তেলাওয়াত চলমান রয়েছে । অনেক নেতাকর্মীকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
বরিশালের উন্নয়নের ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা স্মরণ করে নেতাকর্মীরা বলেন, তার হাত ধরেই বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি ৯টি জেলা নিয়ে দেশের পঞ্চম প্রশাসনিক বিভাগ হিসেবে বরিশাল বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেন তিনি, যা তার শাসনামলেই বাস্তবায়িত হয়।
একই সময়ে বরিশাল বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তিনি নিজেই এর উদ্বোধন করেন। তার শাসনামলে দেশের পঞ্চম সিটি কর্পোরেশন হিসেবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়। এছাড়াও তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া বরিশাল বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার, বরিশাল সার্কিট হাউজ, বরিশাল জেলা জজ আদালত ভবন উদ্বোধন করেন। তার উদ্যোগে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, বিকেএসপি, বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়।
বরিশাল জেলা বিএনপির দক্ষিণের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিন বলেন, নদীবেষ্টিত বরিশালে বেগম খালেদা জিয়া বারবার সফর করেছেন। তিনি লঞ্চে করে মুলাদী, হিজলা, বাকেরগঞ্জসহ প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিতেন।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার শিরিন বলেন, বরিশাল বিভাগের ইতিহাসের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার নাম চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বরিশাল বিভাগ তারই ঘোষণা এবং তার সময়েই বাস্তবায়ন হয়েছে। বিভাগের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনায় রয়েছে তার অবদান।
সাধারণ মানুষরাও বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, তার শাসনামলে দেশ ও বরিশালে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, যা মানুষ আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।