Image description

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু ও নিজের বহিষ্কারের ঘটনা দুটি একই দিনে ঘটাকে ‘সংকেতপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বহিষ্কৃত সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দিনে দল থেকে বহিষ্কারের আদেশ পাওয়া আমার রাজনৈতিক জীবনের এক অদ্ভুত ও বেদনাদায়ক অধ্যায়।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান তিনি। এসময় বহিষ্কার সত্ত্বেও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রুমিন ফারহানা।

বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় রুমিন ফারহানা জানান, রাজনীতিতে আপস না করে একা দাঁড়িয়ে যাওয়ার শিক্ষা তিনি খালেদা জিয়ার কাছ থেকেই পেয়েছেন। যার আদর্শে রাজনীতি করেছেন এবং যার আশ্রয় ও স্নেহে এত দূর এসেছেন, তার চলে যাওয়ার দিনেই নিজের বহিষ্কারকে তিনি কাকতালীয় নয় বলে মনে করেন তিনি।  

খালেদা জিয়াকে আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমি আমার রাজনৈতিক অভিভাবককে হারিয়েছি, যার আদর্শে রাজনীতি করেছি, উজ্জীবিত হয়েছি এবং যার আদর্শ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আমি রাজনীতি করেছি—তিনি আজ চলে গেলেন। তার এ চলে যাওয়ায় দেশ ও দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩ নভেম্বর। এর আগে ২০ নভেম্বর আমার কথা বলে গিয়েছেন। উনি বলেছেন, আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলো না কেন? আমি শুধু এইটুকুই বলব।’

বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত এই নেত্রী বলেন, ‘আমার যে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া, এইটা তো একধরনের আপসহীনতা; জোয়ারের বিরুদ্ধে একলা দাঁড়ানো। এইটা আমি আমার নেত্রীর কাছ থেকে শিখেছি। আপস না করে একা দাঁড়িয়ে যাওয়া—আমি উনার কাছ থেকে শিখেছি।’

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় মঙ্গলবার রুমিন ফারহানাসহ ৯ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই নেতাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

উল্লেখ্য, রুমিন ফারহানার প্রত্যাশিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে নেতাকে জোটের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তিনি দলটির দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও আসন্ন ত্রয়োদশ খেজুর গাছ প্রতীকে নির্বাচন করছেন।