Image description
 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বগুড়ার বাগবাড়িতে শ্বশুরবাড়ি হওয়ার সুবাদে পাঁচ বার এসেছিলেন। এরমধ্যে ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ও পরে। এরপর ১৯৯৬ সালে বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে ১ বার। সবশেষে ২০০১ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ও পরে এই বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।

 
 

বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার এ সব তথ্য নিশ্চিত করে জানান।

 

বগুড়া শহর থেকে বনানী-মাদলা-বাগবাড়ি সড়ক হয়ে ১৭ কিলোমিটার অদূরে সরেজমিনে দেখা যায়, বাগবাড়ীর কলেজ ও বাজারের পায়ে হাঁটা পথে পাকা রাস্তা ধরে গেলে, দক্ষিণেই দেখা মেলে শত বছরের জীর্ণ পুরোনো দালান বাড়িটি। বাড়িতে ঢুকতেই চোখে পড়ে ‘জিয়াবাড়ী’ লেখাটি।

 

‘দেয়ালে লেখা আছে ‘২২শে আষাঢ়, ১৩০২ সন, ১৮৯৫ সাল। উপড়ে চিলেকোঠা আর নিচে মাত্র ২টি কক্ষ। পশ্চিমের শানবাঁধানো পুকুর, পাশের ভাঙা দেয়াল, ইট পারা রাস্তা, সামনের ফাঁকা জায়গাসহ পুরানো গোরস্তান সেই সাথে বাড়ির শয়নকক্ষে জিয়াউর রহমান ও বেগম জিয়ার ব্যবহৃত দুর্লভ কিছু কাচের আসবাবসহ সোফা, খাট ও টেবিল। পুরানো ইটের একতলা বাড়িটি যেন প্রিয় মানুষটির শোকে স্তব্ধ হয়ে আছে।

 

জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী মহিষাবান গ্রামের কামাল উদ্দিন মণ্ডল এখানকার তৎকালীন জমিদার পরিবারের কন্যা মিরুন নেছার সাথে বিয়ের সুবাদে এখানে স্থায়ী হন। যিনি জিয়াউর রহমানের দাদা। শোনা যায়, তিনিই জিয়াউর রহমানের নামকরণ করেন। ৯ সন্তানের পরিবারে ৫ নম্বর ছিলেন মনসুর রহমান। তিনি জাহানারা খাতুনকে বিয়ে করলে সেই পরিবারে ৪ ছেলেকে জন্ম হয়। এই পরিবারের ২য় জনই ছিলেন জিয়াউর রহমান।