পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে নির্ধারিত সময়ের ১২ মিনিট পরে পৌঁছানোয় মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি ৭৪ বছর বয়সি স্বতন্ত্র প্রার্থী সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস। তিনি সপ্তমবারের মতো মনোনয়নপত্র জমা দিতে চেয়েছিলেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
তিন ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের গিলাবাদ গ্রামের সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস। এর আগে ৬টি নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল তার। তারপরও সোমবার মনোয়নয়নপত্র দাখিল করতে যান সুধীর।
জানা গেছে, কখনো নিজের ভোটটি ছাড়া কোনো ভোট পাননি সুধীর বিশ্বাস।
সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে তার স্ত্রী অঞ্জলী রানী বিশ্বাস ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনে হেরে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই তার আত্মার সন্তুষ্টির জন্যই নির্বাচন করে আসছেন সুধীর।
নিজেকে একজন গ্রাম্য চিকিৎসক দাবি করে তিনি বলেন, রোগীদের চিকিৎসাপত্র দিয়ে জমিয়ে রাখা টাকা ও কিছু জিনিসপত্র বিক্রি করে এ বছর মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলাম; কিন্তু নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট পরে গেলে আমার কাগজপত্র জমা নেয়নি। আমার বয়স হয়ে গেছে, তাই কাগজপত্র রেডি করে নিয়ে যেতে একটু দেরি হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাসুদেব সরকার জানান, সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস দাউদখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। নির্বাচন করার অধিকার তার আছে। নির্ধারিত সময়ের পরে আসার কারণে তিনি জমা দিতে পারেননি।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা আকলিমা আক্তার জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময় বিকাল ৫টার ১২ মিনিট পরে তিনি কাগজপত্র নিয়ে আসায় জমা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, পিরোজপুর-৩ আসনে সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী রুহুল আমিন দুলাল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী আব্দুল জলিল শরীফ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শামীম হামিদি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রুস্তম আলী ফরাজী, জাতীয় পার্টির মাসরেকুল আজম রবি, জাসদ মনোনীত প্রার্থী করিম শিকদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌহিদুর ইসলাম।