কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশ দেখে দৌড়ে পালিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। পরে বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে রাত ৩টার দিকে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাইফুলের লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
মৃত সাইফুল উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বড় ফুলগাছতলা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, রাত পৌনে ১টার দিকে সাইফুলকে ধরতে ঘরে যায় পুলিশ। এ সময় তিনি ঘর থেকে পাশের বিলের দিকে দৌড় দেন। প্রতিপক্ষের লোকজন সেখানে তাকে গলাটিপে ও মারধর করে হত্যা করে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গত শনিবার স্থানীয় নুরুল ইসলাম ও ফরিদুল আলমের মধ্যে জমি নিয়ে বাড়ির পাশে মারামারি হয়। ঘটনার পর তদন্তে গেলে সাইফুল ইসলাম পুলিশকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ঘটনার বর্ণনা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন নুরুল ইসলাম। মারামারির ঘটনায় ওই রাতে মামলা হলে সাইফুল ইসলামকেও আসামি করেন নুরুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আকতার।
সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রিনা আকতার বলেন, সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে সাইফুলকে ধরতে ঘরে পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সাইফুল কৌশলে দৌড় দেন। দৌড়ে পুলিশ থেকে বাঁচতে পারলেও প্রতিপক্ষের লোকজন ঠিকই তাকে ধরে ফেলে। এ সময় তারা গলাটিপে ও মারধর করে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববর্তী বিলে ফেলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর সাইফুল ঘরে না ফিরলে তাকে খুঁজতে গেলে বিলে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন সবাই।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, সাইফুল চকরিয়া থানার একটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাকে ধরতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ গেলেও ঘরে না পেয়ে ফিরে আসে।
সাইফুলের পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ও মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ উদঘাটন হবে বলে আশা করছি।