Image description
 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজ কাকারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত (৩৩) সাইফুল ইসলাম মৃত শাহ আলমের পুত্র। তিনি চকরিয়া পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যোগাযোগ বিষয় সম্পাদক।

সংবাদ পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে সাইফুলকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তার বাড়িতে যায়। এ সময় বাড়িতে তল্লাশি করে তাকে না পেয়ে পুলিশ চলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হেলমেট পরা একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাইফুলকে ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে তারা তাকে ধরে পাশের বিলে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা সেখানে তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

নিহত সাইফুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত সাইফুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি পেশাগত কাজের সুবাদে এক যুগেরও অধিক সময় বসবাস করেন চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাজধানী পাড়ায়।

 

কয়েক বছর আগে সাইফুল নিজ এলাকা কাকারা ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজ কাকারায় সপরিবারে বসবাস শুরু করেন।

নিহত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রিনা আক্তার অভিযোগ করেন, সম্প্রতি জমি নিয়ে বাড়ির পাশে দুই দলের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনা চলাকালে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তার স্বামী সাইফুল ইসলাম। পরে এ মামলায় তাকে আসামি করা হয়। সেই মামলার আসামি হিসেবে সাইফুলকে ধরতে সোমবার রাতে পুলিশ বাড়িতে আসে।

তিনি জানান, এ সময় বাড়িতে না থাকায় তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এর পর পুলিশ চলে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১০-১২ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মাথায় হেলমেট পরে এসে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় বাড়ির পেছন থেকে ধাওয়া দিয়ে তার স্বামী সাইফুলকে দিগম্বর করে নিয়ে যায় পাশের বিলে। সেখানে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন কালবেলাকে বলেন, সোমবার রাতে মামলার আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য বাড়িতে পুলিশ যায় সেটা সত্য। কিন্তু তাকে বাড়িতে না পেয়ে পুলিশ চলে আসে। এর পর কী ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে সাইফুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এ সময় সাইফুলের শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের জখম পাওয়া না গেলেও মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রদান সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।