Image description

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ২৪৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরের অংশ। শুক্রবার গুলশানের লেকশোর হোটেলে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। 

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ভোটের মাঠে সব দলের ‘সমান সুযোগ নিশ্চিত না হলে’ নির্বাচন থেকে সরে আসারও কথা বলেছেন তিনি।

শামীম হায়দার বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময়ই এ দেশের জনগণের রায়ের উপর শ্রদ্ধাশীল। জনগণের যে কোনো রায় আমরা অতীতেও মেনে নিয়েছি। জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনমুখী দল। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণ মুলক করার পূর্ব শর্ত হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রেখে সকল দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। এটা করার দায়িত্ব ইন্টারিম সরকারের। কিন্তু আমরা আশঙ্কাজনকভাবে দেখতে পাচ্ছি যে সরকার যথাযথভাবে এই কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

তিনি বলেন, সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীরা সকলের অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। অনেক আসনেই একাধিক প্রার্থী থাকার কারণে আমরা প্রার্থী মনোনয়নে হিমশিম খাচ্ছিলাম। যাচাই-বাছাই শেষে আজ আমরা আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছি। আমরা এখনো আশা করি যে, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে সমান সুযোগ দেবেন।

ঘোষিত ২৪৩ আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের রংপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী গাইবান্ধা-১ ও ৫ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা লালমনিরহাটের লালমনিরহাট-১ আসনে নির্বাচন করবেন।

এদিকে, তালিকায় থাকা প্রার্থীদের কমপক্ষে চারজনের নাম আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির একাংশ থেকেও এসেছে। এই তালিকায় রয়েছেন পনির উদ্দিন আহমেদ (কুড়িগ্রাম-১), ফখরুল ইমাম (ময়মনসিংহ-৮), লিয়াকত হোসেন খোকা (নারায়ণগঞ্জ-৩) এবং জিয়াউল হক মৃধা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২)।

উল্লেখ্য, ২৩ ডিসেম্বর আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থিতা ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফখরুল ইমাম। শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনেও তিনি উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের নির্বাচন করলেও এবার তিনি নির্বাচন করছেন না। শেরিফা কাদের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।

এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, এস এম আব্দুল মান্নান, মিজানুর রহমান, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, এমরান হোসেন মিয়া, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, ইকবাল হোসেন তাপস, শেরীফা কাদের, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, আলমগীর সিকদার লোটন, মইনুর রাব্বি চৌধুরী, নুরুন নাহার বেগম, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, মো. আবু তাহের, ফকরুল ইমাম।