বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জেএসডি আসন্ন নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে দলীয় অবস্থান তুলে ধরতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসডি এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।
লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের শুরুতে সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, জেএসডি দীর্ঘকাল ধরে স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক সংস্কার এবং একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের লক্ষ্যে লড়াই করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সংকটময় রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে উত্তরণের জন্য বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলাই একমাত্র কার্যকর পথ। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জেএসডি আসন্ন নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে তানিয়া রব বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি সমঝোতার রাজনীতি এবং ঘোষিত রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রত্যাশিত সম্মান ও নিষ্ঠা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াটি আরও জটিল ও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভোটাধিকার ও সুশাসনের প্রশ্নে নিম্নোক্ত দুই দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয় :
১. নবতর রাজনৈতিক শক্তি গঠন : সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম ও রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের জন-সার্বভৌমত্বের ধারাকে ধারণ করে এমন এক নবতর শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে, যা প্রচলিত ক্ষমতা কাঠামোর আমূল পরিবর্তন ঘটাবে। এর মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পুনর্গঠন, বৈষম্যহীন ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রের গুণগত রূপান্তর সাধন করে জনগণের নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা।
২. নির্বাচনী কৌশল : আসন্ন নির্বাচনে জেএসডি ‘অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এককভাবে অংশগ্রহণ করবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় রাষ্ট্র সংস্কার বা রাষ্ট্র রূপান্তরের পক্ষের শক্তিগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক মেরুকরণের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পথও খোলা রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাড. কে এম জাবির, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিম, নূরুল আমিন, মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন,সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সামছুল আলম নিক্সন, মোশারেফ হোসেন মন্টু, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, আবদুল মান্নান মুন্সি, কামরুল আহসান অপু, ফারজানা দিবা, আনিসা রত্না, তাবাসসুম মোহাম্মদ মোস্তাক প্রমুখ।