Image description

খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক শক্তির নেতা মো. মোতালেব শিকদারকে গুলির ঘটনায় তার সহযোগী আরিফ হোসেনকে (৩৫) আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে তাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-৬ জানায়, মোতালেব গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আটক আরিফ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
 
পুলিশ জানায়, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর ১০৯ মজিদ সরণির আল-আসকা মসজিদ গলির ‘মুক্তা হাউস’ নামে একটি বাসার নিচতলায় গুলিবিদ্ধ হন মোতালেব শিকদার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা, বিদেশি মদের বোতল, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আলামত জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে আহত মোতালেবের স্ত্রী রহিমা আক্তার ফাহিমা জেলা জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম সদস্যসচিব তনিমা ওরফে তন্বীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৬-৭ জনের নামে সোনাডাঙা মডেল থানায় একটি মামলা করেন। গত বুধবার মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার রাতেই নগর গোয়েন্দা পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে জাতীয় যুব শক্তির নেত্রী তনিমাকে আটক করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, “গুলিবিদ্ধ ঘটনার সময় ‘মুক্তা হাউস’-এ মোতালেব শিকদার ও তনিমা তন্বীর সঙ্গে আরিফও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

এ কারণে এখনই কিছু প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহামম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মোতালেব শিকদার হত্যাচেষ্টা মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করছে। দ্রুতই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’