Image description

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে মাটি লুটের ঘটনায় আটক কিসমত আলীকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন— ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহি মেহেদী হাসান।

ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন জানান, বেতনা নদীর খননকৃত মাটি নেহালপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট করে আসছিল একটি মহল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার নেহালপুর এলাকার বেতনা নদীর খননকৃত মাটি কিনেছেন মর্মে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অর্ণব দত্ত তাকে মঙ্গলবার অবহিত করেন। এ কারণে তিনি তাদের মাটি কাটতে বাধা দেন। তার ওপর চড়াও হয় কিসমত ও তার সহযোগীরা।

সোহরাব আরও জানান, এক পর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রলিভর্তি মাটিসহ কিসমতকে ধরে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে দিলে কিসমতের ভাই রহমত, স্ত্রী শাহানারা ও ভাস্তে বাবর আলীসহ ৩০/৩৫ জন ফাঁড়ির ফটক জোরপূর্বক খুলে ফেলে। তারা কিসমতকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহি মেহেদী হাসান বাধা দেন। হামলাকারীরা ওই দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে জখম করে কিসমতকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ওই দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে কিসমত হোসেন দাবি করে বলেন, পুলিশের নিষেধ অমান্য করে তিনি বুধবার সকালে বেতনার মাটি কাটছিলেন এটা সত্য। কিন্তু তাকে ধরে আনার পর আর কখনো মাটি কাটবেন না বলার পরও ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন তাকে মারধর করেছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান কালবেলাকে জানান, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় কিসমতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন বুধবার সন্ধ্যায় থানায় একটি মামলা করেছেন।