ভবনের নকশা অনুমোদন ও ভূমি ছাড়পত্র দিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা ঘুস গ্রহণের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ রয়েছে, চাহিদামতো ঘুস না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ভূমি মালিককে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি এবং ফাইল আটকে রাখা হয়।
এমনকি নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে ভবন ভেঙে দিয়ে জরিমানাও করা হয়। অবশেষে ৫০ লাখ টাকা ঘুস নিয়ে ওই ভবনের নকশা অনুমোদন দিলেও চূড়ান্ত অনুমোদন দেননি তারা।
ঘুসকাণ্ডে অভিযুক্তরা হলেন সিডিএর ভূমি ছাড়পত্র বিভাগের সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ (এটিপি) কামাল হোসেন, সহকারী অথরাইজড অফিসার-১ ইলিয়াস আকতার, অথরাইজড অফিসার-১ মোহাম্মদ হাসান এবং ডিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট আলমগীর তালুকদার।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সিডিএ ভবনে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলমের নেতৃত্বে চার ঘণ্টাব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় চেয়ারম্যান, প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগ পরিদর্শন করে গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, হাসান মুরাদ নামে একজন গ্রাহক ভূমি ছাড়পত্রের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন ২০২৩ সালের ২৩ মে। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরে তিনি নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন। গত বছরের মে মাসে নকশা অনুমোদনের আবেদন করা হলেও অনুমোদনপত্র ইস্যু করা হয়নি।
ফাইলটি অনুমোদনের জন্য হাসান মুরাদ ও তার ভাইকে ব্যাপক হয়রানি করেন অভিযুক্ত সিডিএ কর্মকর্তারা। নানাভাবে হয়রানি করার জন্য বিভিন্ন সময় ফাইল আটকে দেওয়া হয়, ভবন ভেঙে জরিমানা করা হয় এবং কৌশলে ৫০ লাখ টাকা ঘুস আদায় করা হয়।
দুদক জানায়, ঘুস লেনদেনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।
এ বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম বলেন, অভিযোগগুলো আগের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের সময়কালের। দুদক বিষয়টি তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমি চাই দুর্নীতিমুক্ত সিডিএ।