Image description
শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং তরুণদের কর্মসংস্থানের অঙ্গীকার থাকবে নারীর কর্মসংস্থান, নিরাপত্তার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার সাজাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ ছাড়া ইশতেহার তৈরি করতে জনতার ইশতেহার নামের একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া হচ্ছে। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই ইশতেহার সাজাতে চায় দলটি।

জামায়াত নেতারা জানান, এই ইশতেহারে দুর্নীতিকে লাল কার্ড দেখানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া নারীর কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোকেও ইশতেহারে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আসন্ন নির্বাচনের ইশতেহার কেমন হবে, জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ইশতেহারে শিক্ষা সংস্কার, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠন এবং বেকারত্ব দূরীকরণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থার যথাযথ সংস্কারই জাতি গঠনের মূল ভিত্তি। ইশতেহারের প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি ও বেকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

পাশাপাশি ইশতেহারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও টেকসই একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহারে কৃষিবান্ধব নীতি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং তরুণদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। একই সঙ্গে নারীর কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।’

দলটির নেতারা জানান, এবারের নির্বাচনী ইশতেহার জনবান্ধব, বাস্তবসম্মত ও জবাবদিহিমূলক করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত।

এর অংশ হিসেবে ‘জনতার ইশতেহার’ নামের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনগণের সরাসরি মতামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপভিত্তিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকরা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নীতিগত মতামত, সমস্যা ও প্রস্তাব জমা দিতে পারছে। লিখিত মতামতের পাশাপাশি অডিও ও ভিডিও মাধ্যমেও মতামত প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি, যা আমাদের প্রত্যাশার বাইরে।

আমরা প্রত্যাশা করছি, দেশবাসী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে জনতার ইশতেহার তৈরিতে সহলেখকের ভূমিকা পালন করবে।’

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই ইশতেহার কোনো দলীয় স্বার্থনির্ভর দলিল নয়। সাধারণ মানুষের মতামত ও প্রত্যাশাকে ভিত্তি করে ইশতেহারটি প্রণয়ন করতে জনতার ইশতেহার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মতামত নেওয়া হচ্ছে। জনগণের মতামতকে এই ইশতেহারে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’ 

নির্বাচনী ইশতেহার কখন চূড়ান্ত ও প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জনতার ইশতেহারের মাধ্যমে সংগৃহীত মতামত সংকলন ও চূড়ান্ত করার পরই ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। আশা করছি, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এবং আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগেই পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী ইশতেহার জনগণের সামনে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।’