দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় এক বর্ণাঢ্য স্বাগত মিছিল শেষে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
রিজভী জানান, তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আনন্দের বন্যা বইছে এবং লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় আসছেন। জনসমাগম সামাল দিতে তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা বরদাশত করা হবে না। জনসমাগম যত বড়ই হোক, সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে হবে।
তারেক রহমান তাঁর অসুস্থ মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখে বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরে শৃঙ্খলার সাথে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
তারেক রহমানের আগমনের দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে রিজভী জানান: ২৫ ডিসেম্বর তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার পথে ৩০০ ফিট এলাকায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। এরপর তিনি হাসপাতালে তাঁর মাকে দেখতে যাবেন এবং সেখান থেকে বাসায় ফিরবেন।
তিনি বলেন, বিনা কারণে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে নির্মম শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল। গত ১৭ বছর ধরে তাঁকে পরিবার ও রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। এমনকি ছোট ভাইয়ের জানাজায়ও তাঁকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি, যার জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করেন তিনি।
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়েছে। রিজভী বলেন, "সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া দলীয়ভাবেও নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় থাকবেন।"
এদিন পিজি হাসপাতাল থেকে শুরু করে শাহবাগ মোড় হয়ে মৎস্য ভবন পর্যন্ত বিশাল মিছিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক সমর্থক অংশগ্রহণ করেন।