ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণে সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এ নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি এ নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ দেশে আনা হয় এবং ২০ ডিসেম্বর তার লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাশাত জাবিন ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত ডিএনএ নমুনা সিআইডির প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষণের নির্দেশ দিচ্ছে। এছাড়া প্রোফাইলিং ও সংরক্ষণ কার্য সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের চিফ ডিএনএ অ্যানালিস্ট ফরেনসিককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হাদিকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপসহীন এই তরুণ।
১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট অরতরণ করে। পরে শনিবার সংসদ ভবন এলাকায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা হয় হাদির। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত হন শরীফ ওসমান হাদি।