Image description
 

সব জল্পনা–কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনে বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। 

 

মঙ্গলবার বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, জমিয়তের সঙ্গে নির্বাচনি সমঝোতার ভিত্তিতে ৪টি আসনে বিএনপি প্রার্থী দেবে না। 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। এখানে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দল ব্যবস্থা নেবে। 

নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনে মনোনয়ন পাওয়ায় জমিয়তের নেতাকর্মীরা বেশ উচ্ছসিত। তাদের দাবি বিএনপির সহযোগিতায় এই আসনে মনির হোসাইন কাসেমী জয়ী হবেন। তবে হতাশা বিরাজ করছে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে। 

এ ব্যাপারে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি জানান, বিগত দিনে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছে।  বিএনপি থেকে আমিসহ আরো কয়েকজন মনোনয়ন চেয়ে মাঠে কাজ করেছে। দলীয় কাউকে না দিয়ে জোটকে ছাড় দেওয়ায় কিছুটা হতাশা আছে দলের কর্মীদের মধ্যে।  জোটর শরীক দল হিসাবে এই আসনটি জমিয়তকে ছাড়া হয়েছে। দল হয়তো বৃহৎ স্বার্থে জমিয়তকে ছেড়েছে। 

 

 আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, দলের হাইকমাণ্ড কোন যুক্তিতে এই আসনটি জমিয়তে ছেড়েছে সেটি দলীয় হাইকমাণ্ড বলতে পারবে।  তবে দল মাঠের জরিপকে প্রধান্য দেয়নি। এটি বিএনপির আসন। দলীয় নেতাকর্মীরা এখানে ধানের শীর্ষের প্রার্থী চায়। দল মাঠের চিত্র আমলে না নিয়ে জমিয়তের সঙ্গে সমঝোতা করেছে। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।  

তবে জোটের মনোনয়ন পাওয়া জমিয়তের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী জানান, এই আসনের বিএনপির নেতাকর্মীরা একাই যথেষ্ট। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জমিয়ত। দুই দলের ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া আরও সহজ হবে। বলতে পারেন এ যেন সোনায় সোহাগা। কারণ বিএনপির সহযোগী হয়েছে জমিয়ত।  

তিনি বলেন, বিএনপির তৃণমুলের নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে  ২০১৮ সাল থেকেই আছে। কারণ ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে আমি জোটের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। সে থেকে বিএনপির তৃণমলের সঙ্গে আমার যোগাযোগ। আমি তাদের পাশে ছিলাম, আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। তবে বিএনপি থেকে যারা মনোনয়ন চেয়ে মাঠে কাজ করেছেন, তাদের কিছুটা মন খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি সবার কাছে যাবো, তাদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ করব।