ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব শায়লা ফারজানাকে বের করে দেন বঞ্চিত কর্মকর্তারা। এরপর একই মন্ত্রণালয়ের শায়লার ঘনিষ্ঠ ও আওয়ামীপন্থি অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হককেও ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন তারা।
এ সময় জিয়াউল হক নিজের ব্যবহৃত ল্যাপটপটি নিতে চাইলে সেটিও নিতে দেননি বঞ্চিতরা। পরে তার কর্মচারীরা তাকে ল্যাপটপ পৌঁছে দেন।
এবার সেই জিয়াউল হককে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ রফিকুল হকের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে পদায়ন করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বছরের আগস্টে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এরপর এই কর্মকর্তাকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে বদলি করা হয়। সেখানে যোগদানের পর মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হকের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর মো. এহছানুল হক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি হয়ে জিয়াউল হককে এপিডি উইংয়ে পদায়নের আগ্রহ দেখান। এটি হলে জনপ্রশাসন সচিবকে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে, এটি ভেবে তাকে এপিডিতে পদায়ন করা হয়নি। এরপর জিয়াউলকে সচিব পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে গণমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে তার পদোন্নতি আটকে যায়।
তবে ওই সংবাদ প্রকাশের ৪২ দিনের মাথায় এবার তাকে পদোন্নতি দিল অন্তর্বর্তী সরকার।
জিয়াউল হকের ব্যক্তিগত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তিনি অতিরিক্ত সচিব শায়লা ফারজানার ঘনিষ্ঠ আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা হওয়ায় ২০১৫ সাল থেকে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হওয়া পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, ১/১১ সরকারের সময় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।