জুলাই বিপ্লবের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনে পরবর্তী শুনানি ৪ জানুয়ারি।
সোমবার বিচারপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অপর সদস্য হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ। সকালে আসামিদের কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।
আজ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি করে প্রসিকিশন বা রাষ্ট্রপক্ষ। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম অভিযোগ তুলে ধরেন।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- ছাত্র-জনতাকে দমনে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া, আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামীলীগসহ এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্দোলন দমনে লেথাল উইপেন ব্যবহারের নির্দেশের মাধ্যমে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও আহত করা।
নির্বাচনের আগে হাদি হত্যার বিচার করতে হবে: জাবেরনির্বাচনের আগে হাদি হত্যার বিচার করতে হবে: জাবের
এসব ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে সুপারিওর রেসপন্সিবিলিটি বা সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের দায় আনা হয়েছে।
অভিযোগ উত্থাপন শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল।
পরে আসামিদের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরতে সময়ের আবেদন জানান আইনজীবী মনসুরুল হক। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট গ্রেফতার হন সালমান ও আনিসুল। এরপর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।