Image description

কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। দাফন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, শহীদ হাদির পরিবারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সম্প্রসারিত পরিবারের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। আমরা মনে করি, তার পরিবার আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় পরিবারেরই অংশ। এই কঠিন সময়ে ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে যে সহযোগিতা তারা করেছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) পৌনে ৪টায় শহীদ হাদির দাফন শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় ওসমান হাদীর পরিবার, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, ঢাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানটি কেবল একটি দাফনস্থল নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানোর একটি প্রতীক। এখানে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধী রয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একাধিক সন্তানও এখানে শায়িত আছেন। এই স্থানে শহীদ হাদিকে দাফনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সন্তানের প্রতি সম্মান জানিয়েছে।

উপাচার্য আরও জানান, হাদির দাফনের বিষয়ে শুক্রবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ সিন্ডিকেটের একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- পরিবারের সম্মতি নিয়ে শহীদ হাদিকে এই কবরস্থানে দাফন করা হবে। সিন্ডিকেট সভায় আবেগ ও গভীর সহমর্মিতার সঙ্গে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

উপাচার্য বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদের মর্যাদা আলাদা। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসে শহীদের যে বিশেষ মর্যাদার কথা বলা হয়েছে, তার প্রতিফলন আমরা আজ এই আয়োজনের মধ্যেও অনুভব করেছি।