ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সম্মুখসারির যোদ্ধা জান্নাতারা রুমির মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না এনসিপি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রুমির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে এ কথা জানান এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
তিনি বলেন, ওসমান হাদির মস্তিষ্ক ভেদ করা বুলেট যেমন আমাদের ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে, এরই মধ্যে সহকর্মী রুমির ঝুলন্ত মরদেহ আমাদের, দেশের সকল মানুষকে, সব জুলাই যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা রাখা হয়নি। নির্বাচন এমনভাবে করা হচ্ছে যেখানে প্রশাসনের নির্দিষ্ট কোনও রূপরেখা নাই। এই নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন নয়।
রুমিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাকে বুলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। এনসিপি ও শহিদ পরিবারের ওপর হুমকি আসছে। দিল্লি, রাওয়ালপিন্ডি ও আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে। তাদের আচরণ পক্ষপাতমূলক। নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংস্কারের ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। কোনও তথ্য যাতে গোপন করা না হয় তার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নারীরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। তাদের বিষয়ে সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয় নাই, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। তার বিপক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিষয়ে দলগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
একই সময়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের যারা পক্ষে, যারা জুলাই যোদ্ধা, তাদের একের পর এক অপমৃত্যু হচ্ছে। অনেককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। রুমিকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সেজন্য সে ১৩ তারিখ ধানমন্ডি থানায় জিডি করেছিল।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও পুলিশসহ সরকারকে বলব, সবাই এদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। রিপোর্টে যেন কোনও হেরফের না হয়।