পাকিস্তানের নোবেলজয়ী নারী শিক্ষা কর্মী মালালা ইউসাফজাই তালেবানদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছিল ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর। কপালের বাম পাশ দিয়ে প্রবেশ করে বুলেটটি মাথার নিচ দিক ভেদ করে কাঁধে আটকে যায়। তাঁর শারীরিক অবস্থা ছিল চরম সংকটাপন্ন, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। প্রথমে স্থানীয় সামরিক হাসপাতালে প্রাথমিক অস্ত্রোপচার ও মাথার খুলি সংরক্ষণের চেষ্টা করা হয়।
পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পাঁচ দিন পর তাঁকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রয়্যাল সেন্টার ফর ডিফেন্স মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ দল একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসার মাধ্যমে মালালাকে প্রায় অলৌকিকভাবে সুস্থ করে তোলেন।
বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালটি বিশ্বের অন্যতম সেরা নিউরোট্রমা সেন্টার, যুদ্ধে আহত সৈনিকদের চিকিৎসায় যাদের অসামান্য দক্ষতা। মাথার গুরুতর আঘাত, ব্রেনস্টেমের সমস্যা, পুনর্বাসন-সবকিছুতে তাদের অভিজ্ঞতা অনেক। এখানে আছে আধুনিক নিউরোক্রিটিক্যাল কেয়ার, অস্ত্রোপচার ও লং-টার্ম রিহ্যাবিলিটেশন সুবিধা।
মালালার ঘটনা প্রমাণ করে, উন্নত চিকিৎসা ও বিশেষায়িত সেবা চরম গুরুতর অবস্থা থেকেও একজন রোগীকে ফিরিয়ে আনতে পারে। গুলিবিদ্ধ হাদির শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তথ্য সাধারণ্যে প্রকাশ করা না হলেও তিনি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন।
মালালার মতো হাদিও পেতে পারেন উন্নত চিকিৎসার সুযোগ। তাঁর জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। প্রতিটি জীবনই মূল্যবান, হাদিও কি ফিরবেন মালালার মতন!