বিজয়ের ৫৪তম বার্ষিকীতে ব্যতিক্রমধর্মী ও গর্বের এক অধ্যায়ের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার বলে একসঙ্গে ৫৪ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে আকাশ থেকে ফ্রি ফল প্যারাসুট জাম্প সম্পন্ন করেছেন।
এই ঐতিহাসিক অভিযানে অংশ নেন বিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিকুর রহমানসহ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত প্যারাট্রুপাররা।
জাম্পের ঠিক আগমুহূর্তে আকাশে প্রতিধ্বনিত হয় সম্মিলিত “নারায়ে তাকবীর—আল্লাহু আকবার” ধ্বনি। এরপর একে একে আকাশ থেকে লাফিয়ে ভূমিতে অবতরণ করেন সেনা সদস্যরা।
এই দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। অনেকেই এই দৃশ্যকে জাতীয় গৌরব, আত্মবিশ্বাস ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জাতীয় পতাকা বহন করে ফ্রি ফল প্যারাসুট জাম্প, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির জন্য নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বিজয়ের ৫৪তম বার্ষিকীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৫৪ জন সেনা সদস্যের এই জাম্প আয়োজনটি পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করা হয়।
আয়োজকদের মতে, এই প্যারাসুট জাম্প শুধু একটি ক্রীড়া বা সামরিক কৌশল প্রদর্শন নয়, বরং এটি বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা, শৃঙ্খলা, সাহস এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রতিফলন। আকাশে উড়তে থাকা লাল-সবুজের পতাকা দেশের স্বাধীনতা, আত্মত্যাগ ও বিজয়ের ইতিহাসকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়।
বিশেষভাবে নজর কাড়ে লাফ দেওয়ার আগে তাকবীর প্রদানের বিষয়টি। অনেকেই মনে করছেন, এটি সেনা সদস্যদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আত্মিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ, যা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের পাশাপাশি দলগত ঐক্য ও মনোবলকে আরও দৃঢ় করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা ও সাহসিকতার অনুপ্রেরণা জোগাবে এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকা প্রয়োজন।