Image description
 

যুবদল নেতা আরিফ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন বিথীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. মাজহারুল ইসলাম। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রিমান্ড শুনানির দিন রেখেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামান। প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই আরিফ রেজা এতথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কুমিল্লা জেলা কারাগারের সামনে থেকে বিথীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার মেয়ে খাদিজা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে আসামি খাদিজা তার পিতাসহ মগবাজার ও হাতিরঝিল এলাকায় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভিকটিম আরিফকে তার প্রতিপক্ষ মনে করতেন। তারই প্রেক্ষিতে সুব্রত বাইন ও আসামি খাদিজার প্রত্যক্ষ প্ররোচনা এবং পরিকল্পনায় ভিকটিম আরিফকে হত্যা করা হয়। আরিফ সিকদারের মৃত্যুর ঘটনায় আসামি খাদিজা জড়িত ছিল বলে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে, গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা মোড়ল গলির ‘দি ঝিল ক্যাফে’র সামনে যুবদল নেতা মো. আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল তিনি মারা যান। আরিফ সিকদার ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত আরিফের বোন রিমা আক্তার বাদী হয়ে সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। পরবর্তীকালে আরিফ মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এ মামলায় সুব্রত বাইনকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

শীর্ষনিউজ/