Image description

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ধীরে ধীরে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করতে থাকে, যা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ২০১৪ সালে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে। দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময়ের এই ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট (৩৬ জুলাই)।

দীর্ঘ এই অপশাসনে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে জাতীয় পার্টিসহ আরও বেশ কয়েকটি দল। যেটাকে তারা ১৪ দলীয় জোট বলতো।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যায়। কিন্তু পরিবর্তিত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে তারা আবার নতুন করে নানা ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও প্রথমসারির জুলাইযোদ্ধা এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে।

৫ আগস্টের পর থেকেই আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের অন্যান্য দলকে নিষিদ্ধের দাবি ছিল। তবে ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার পর এই দাবি আরও জোরাল হয়েছে।

এমনই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং আইন মন্ত্রণালয়ে আইনি নোটিস দিয়েছে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা অন্তত ৩৬টি দল ও সংগঠনের জোট জুলাই ঐক্য।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইসরাফিল ফরাজীর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই ঐক্যের পক্ষে নোটিস দিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বোরহান মাহমুদ)।