Image description
 
 

খুলনার রূপসায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সাগর শেখ তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে যশোরে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকসহ ১৯টি মামলা রয়েছে।

এর আগে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা এলাকার চৌরাস্তার পূর্ব পাশে গুলি করে তাকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হত্যাকাণ্ডে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৪-৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিহতের মা রেখা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

নিহত সাগর শেখ রূপসার জাবুসা গ্রিন বাংলা আবাসিক এলাকার ফয়েজ শেখের ছেলে। সাগরের ছোট ভাই রমজান শেখও চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিলেন। তাকে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে খুলনা রেলগেট এলাকায় দুর্বৃত্তরা খুন করে।

 

জানা গেছে, সাগর শেখ মাদক ছিল কারবারি। তিনি সদ্য র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী চিংড়ি পলাশের অন্যতম সহযোগী। এর আগে সাগর শেখ একটি হত্যা মামলায় কারাগারে ছিল। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে রূপসা এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

 
 

সূত্র বলছে, কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য ঘটনার রাতে স্ত্রী ও ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে খুলনায় কেনাকাটার জন্য আসে। হত্যার আগে দুর্বৃত্তরা তাকে অনুসরণ করতে করতে ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনাস্থল জনমানব শূন্য থাকায় সুযোগ বুঝে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরপর দুটি গুলি করে। একটি গুলি তার মাথায় অপরটি পায়ের হাঁটুতে বিদ্ধ হয়। সাগর শেখ লুটিয়ে মাটিতে পড়লে একটি ভ্যানে চারজন ব্যক্তি তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

রূপসা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক মীর বলেন, সাগর শেখ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার নিহতের মা থানায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তদন্ত কার্যক্রম সামনের দিকে নেওয়ার জন্য কয়েকটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। পরে সবকিছু জানানো হবে।

র‌্যাব-৬ এর মেজর নাজমুল ইসলাম বলেন, পুলিশের পাশাপাশি আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করেছি। খানজাহান আলী (র.) সেতু থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। গুলি করার পর সাগরকে বহনকারী ভ্যানের এবং ওই পরিবহনে থাকা চারজনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে খুব শিগগিরই আমরা তাদের সন্ধান পেয়ে যাব।