Image description
১৪ মাসে গ্রেফতার ফ্যাসিস্টের ৫৬,১৮৭ দোসর

গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মী গ্রেফতার হন, জেলে যান। জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নিষ্ঠুর হামলা, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে বেশির ভাগ মামলা হয় গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। এছাড়া রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি, ষড়যন্ত্র, নাশকতাসহ অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিন্তু গ্রেফতার বেশির ভাগ আসামি এরই মধ্যে জামিনে বেরিয়ে গেছেন।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী হিসাবে সারা দেশ থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৭০ ভাগ আসামি এরই মধ্যে জামিন পেয়ে গেছে। এই সংখ্যা জেলা পর্যায়ে প্রায় ৯০ ভাগ, যা আরও ভয়ংকর খবর। শেখ হাসিনার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে যেসব অপরাধী রাজনৈতিক লেবাসে দেশের মানুষের ওপর হত্যা-নিপীড়ন চালিয়েছে, তাদের এমন ঢালাও জামিনের ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয় হিসাবে দেখছেন জুলাই আন্দোলনে যুক্তরা। সরকারের তরফ থেকে অপরাধীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা প্রসিকিউশনের। তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণকারী যুবক ফয়সালের পরিচয় সামনে আসার পর ফ্যাসিস্টদের দোসররা ঝাঁকে ঝাঁকে কীভাবে জামিনে বেরিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে যুগান্তর। শুটার ফয়সাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা। গত বছর অক্টোবরে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় অস্ত্রসহ সে গ্রেফতার হয় র‌্যাবের হাতে। এর দুই মাসের মাথায় তার জামিন হয়ে যায়। তার জামিন পাওয়ার ঘটনা সবাইকে বিস্মিত করেছে। শুটার ফয়সাল জামিন না পেলে হয়তো তার হাতে এভাবে হাদিকে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে হতো না।

সূত্র জানায়, ফয়সালের মতোই জামিনে বেরিয়ে হাসিনার সহযোগী দোসররা আত্মগোপনে থেকে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্যও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। শেখ হাসিনা ভারতে বসে যেসব নির্দেশনা দিচ্ছেন, তা মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের কাজ করছে এসব অপরাধী। হাসিনাসহ বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করছে।

ফ্যাসিবাদের দোসরদের জামিনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী যুগান্তরকে বলেন, প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আমরা প্রতিটি মামলায় আসামিদের জামিনের শতভাগ বিরোধিতা করি। ফ্যাসিস্ট সরকারের কোনো সহযোগী জামিন পেতে পারে না। তবে বিষয়টি নির্ভর করে জজদের (বিচারক) ওপর। বেশির ভাগই জামিন পাচ্ছে উচ্চ আদালত থেকে। ফারুকী বলেন, জামিনের ক্ষেত্রে বয়স, নারী, তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) রিপোর্ট, তদবির, অসুস্থতা, দলীয় পরিচয় প্রভৃতি বিবেচনা করা হয়। অনেক সময় তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে আসামিদের সমঝোতা হয়ে যায়। তখন তদন্ত কর্মকর্তা সাদামাটা প্রতিবেদন জমা দেন। এতে আসামির জামিন লাভ সহজ হয়। অনেক সময় আইনজীবীরা কাগজ বানিয়ে নিয়ে আসেন যে, আসামি জামায়াত-বিএনপির লোক। কখনো এডিট করা ছবি আদালতে হাজির করে বলা হয়, আসামি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাঠে ছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে ফারুকী বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে তদবিরের কারণেও আসামিরা জামিন পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জামিন চাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় আসামির দলীয় পদ-পদবি উল্লেখ করা হয় না। কেবল নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয়। এক্ষেত্রে আসামি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা কঠিন হয়ে পড়ে।

পা হারানো জুলাই যোদ্ধা আব্দুল্লাহ আহমাদ যুগান্তরকে বলেন, ফ্যাসিস্টের দোসররা কীভাবে জামিন পেয়ে যাচ্ছে, তা আমাদের বোধগম্য না। এর পেছনে নিশ্চয়ই প্রভাবশালী মহল আছে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের জামিনে যারা সহযোগিতা করছেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে আমরা কেউ নিরাপদ থাকব না।

সূত্র জানায়, জামিনে বেরিয়ে যাওয়ার পর দোসরদের অনেকেই মিশে গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে। এমনকি জুলাই যোদ্ধাদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মেও মিশে গেছে তারা। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো সতর্ক থাকলে এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। আইন প্রযোগকারী সংস্থার নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ফ্যাসিস্টের ৫৬ হাজার ১৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে জামিন পেয়েছে ৩৯ হাজার ৪১ জন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এলাকাসহ ২৪টি জেলা থেকে মুক্তি পেয়েছে ফ্যাসিস্টের ৯০ ভাগের বেশি সহযোগী ও আসামি। সিএমপি ছাড়া অন্য যেসব জেলা থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক (৯০ ভাগের বেশি) আসামি জামিন পেয়েছে, সেগুলো হলো-মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, রাঙামাটি, বান্দরবান, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, জয়পুরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, রংপুর, লালমনিরহাট ও শেরপুর।

ফ্যাসিবাদের দোসরদের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে কারা ভূমিকা রেখেছে, তা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছেন পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমরা ভঙ্গুর পুলিশ দিয়ে ৫ আগস্টের পর থেকে দায়িত্ব পালন করছি। অনেক দোসর গ্রেফতার করেছি। কিন্তু তারা কীভাবে জামিনে বেরিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঠাই পাচ্ছে, তা নিয়ে আমাদেরও প্রশ্ন আছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, জামিন পাওয়ার পর তাদের (ফ্যাসিবাদের দোসর আসামি) যেন পুনরায় গ্রেফতার করা না হয়, সেজন্যও রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে পুলিশকে চাপ দেওয়া হয়। কেন এই অবস্থা তৈরি হয়েছে জানতে চাইলে গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, এখানে দল ভারী করা, ভোট টানার চেষ্টা এবং মোটা অঙ্কের টাকার খেলা আছে। তিনি বলেন, কর্মী-সমর্থক বাড়ানোর জন্য কোনো কোনো রাজনৈতিক দল অপরাধীদের কাছে টানছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্যাডার গ্রুপ তৈরি এবং ভোটারাদের ভয়ভীতি দেখাতেও ওই অপরাধীদের কাজে লাগাতে চায় তারা।

গোয়েন্দা তথ্যে দেখা যায়, এসব আসামির জামিনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাপে টাকা লেনদেন হয়েছে। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে লুটপাটের ভাগ যেসব নেতাকর্মী পেয়েছেন, তারা জামিনের পেছনে সেই টাকা খরচ করছেন। চট্টগ্রামের আলোচিত আওয়ামী সন্ত্রাসী সাজ্জাদের জামিন পাওয়ার ঘটনা তারই একটি নজির। এছাড়া রাজনৈতিক দলের কোনো কোনো নেতাও তার বাহিনী ভারী করতে টাকার বিনিময়ে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফ্যাসিবাদের দোসরদের রাজনৈতিক দলে টানার বিষয়টিকে আত্মঘাতী উল্লেখ করেন পুলিশের একজন অতিরিক্ত আইজি। তিনি বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করা ফয়সাল করিম একাধিক মামলায় জেলে ছিল। জামিন পাওয়ার পর সে ইনকিলাব মঞ্চে ঢুকে পড়ে। দলীয় প্রচার-প্রচারণাসহ নানা কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করত। হাদির সঙ্গে মিটিং-মিছিলও করেছে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল কাছাকাছি থাকার কারণে টার্গেট বাস্তবায়ন সহজ হয়েছে।

ওই অতিরিক্ত আইজিপি আরও বলেন, ওসমান হাদিসহ একাধিক প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। ফাসিবাদের দোসরদের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা তদবির করেছেন, তাদের তালিকা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের গ্রেফতার নেতাকর্মীরা যেন জামিন না পায়, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী যুগান্তরকে বলেন, পুলিশের কাজ আসামি গ্রেফতার করা। গ্রেফতার আসামিদের যাতে জামিন দেওয়া না হয়, সেজন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সেই আবেদন মঞ্জুর করা বা না করার এখতিয়ার আদালতের। আদালত যদি কোনো আসামিকে জামিন দিয়ে দেন, তাহলে পুলিশের তেমন কিছু করার থাকে না। তবে জামিনপ্রাপ্ত অনেক আসামিকে মনিটরিংয়ে রাখে পুলিশ। তিনি বলেন, ঢাকার বিভিন্ন আদালত থেকে ফ্যাসিবাদের যেসব দোসর জামিন পেয়েছে, তাদের তালিকা করেছে প্রসিকিউশন বিভাগ। সেই তালিকা নিয়ে আমরা কাজ করব। খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে পুলিশের কিছু করণীয় থাকলে অবশ্যই করা হবে।

সূত্র জানায়, ডিএমপি এ পর্যন্ত ফ্যাসিস্টের ৭ হাজার ৭১২ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে জামিন পেয়েছে ৪ হাজার ৫২ জন। শতকরা হিসাবে এটি ৫২ দশমিক ৫৪ ভাগ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) গ্রেফতার করেছে ২ হাজার ৮৬ জনকে। জামিন পেয়েছে ১ হাজার ৫৫৬ জন, শতকরা ৭৪ দশমিক ৫৯ ভাগ। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) ৫৬০ জন দোসরকে গ্রেফতার করে। জামিন পেয়েছে ৪৯৭ জন, শতকরা হিসাবে ৮৮ দশমিক ৭৫ ভাগ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ফ্যাসিস্টের ৫৯২ জন আসামিকে গ্রেফতার করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। তাদের মধ্যে জামিন পেয়েছে ৪০৩ জন, শতকরা হিসাবে ৮৬ দশমিক ৭ ভাগ। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গ্রেফতার করা ৪৫১ আসামির মধ্যে জামিন পেয়েছে ৩৮৯ (৮৬ দশমিক ২৫ ভাগ) জন। ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৪৫৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাদের মধ্যে জামিনে বের হয়েছে ৪২৮ জন (৯৩ দশমিক ২৫ ভাগ)। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৭৪৯ আসামির মধ্যে জামিন পেয়েছে ৪৩১ জন (৫৭ দশমিক ৫৪ ভাগ)। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গ্রেফতার করা ২৮৮ জনের মধ্যে জামিন পেয়েছে ২২৭৮ জন (জামিনের হার ৭৮ দশমিক ৮২ ভাগ)। ঢাকা রেঞ্জে গ্রেফতার ১১ হাজার ৩১৭ জনের মধ্যে জামিন পেয়েছে ৬ হাজার ৯২ জন (৫৩ দশমিক ৮৬ ভাগ)। চট্টগ্রাম রেঞ্জে গ্রেফতার হওয়া ৯ হাজার ৬ জনের মধ্যে জামিন পেয়েছে ৬ হাজার ৫১৭ জন (৭২ দশমিক ৩৬ ভাগ)। রাজশাহী রেঞ্জে গ্রেফতার আসামির মধ্যে ৭৮ দশমিক ৬১ ভাগই জামিন পেয়ে গেছে। এই রেঞ্জের পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতার করেছিলেন ৫ হাজার ৭৫৮ জনকে। এর মধ্যে জামিন পেয়েছে ৪ হাজার ৮৯৮ জন। শতকরা হিসাবে এর সংখ্যা ৮৫ দশমিক শুন্য ৬ ভাগ। খুলনা রেঞ্জ পুলিশের সদস্যরা গ্রেফতার করে ৬ হাজার ২৬ আসামি। তাদের মধ্যে জামিন পায় ৪ হাজার ৭৩৭ জন। শতকরা হিসাবে ৭৮ দশমিক ৬১ ভাগ। বরিশাল রেঞ্জে গ্রেফতার হওয়া ১ হাজার ৬৮৬ আসামির মধ্যে জামিন পেয়েছে ১ হাজার ৬৩৭ জন (৮৭ দশমিক ৭৩ ভাগ)। সিলেট রেঞ্জে গ্রেফতার হওয়া ১ হাজার ৬৭৮ জনের মধ্যে জামিন পেয়েছে ১ হাজার ২০৬ জন (৭১ দশমিক ৮৭ ভাগ)। রংপুর রেঞ্জে গ্রেফতার হওয়া ৪ হাজার ১৭৮ আসামির মধ্যে জামিন হয়েছে ৩ হাজার ১৪১ জনের (জামিনের হার ৭৫ দশমিক ১৮ ভাগ)। ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের সদস্যরা গ্রেফতার করেছেন ৩ হাজার ৪৬৭ জন আসামি। তাদের মধ্যে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৮২০ জন। শতকরা হিসাবে ৮১ দশমিক ৩৪ ভাগ।

পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি বলেন, বেশির ভাগ নির্দেশ আসছে বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে। আর এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করছে দেশে অবস্থানকারী তাদের ক্যাডাররা।