দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। ভর্তি পরীক্ষায় ৯১.২৫ নম্বর পেয়েছেন তিনি।
শান্তর বাড়ি নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায়। সেখানকার বারৈচা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পান। রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে এ বছর গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করেন।
ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর শান্ত বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর আশাহত হয়েছিলাম। মনে হয়েছিল আমার হয়তো ঢাকা মেডিকেল কলেজে হবে না। দিনে অন্তত ৮ ঘন্টা পড়ার চেষ্টা করতাম। কখনো কখনো এর চেয়েও বেশি সময় ধরে পড়ালেখা করেছি।
জাহাঙ্গীর আলম শান্ত বলেন, ‘আমি মূলত সকাল থেকে পড়া শুরু করতে পছন্দ করতাম। ভোর পাঁচটা থেকে সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত পড়তাম। এই সময়টা মুখস্ত ভালো থাকত। ভর্তি প্রস্তুতি শুরুর এক মাস পর মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ রেখেছিলাম। এই সময় মোবাইলটা যে বাসায় থাকতাম ওই বাসার আন্টির কাছে রেখেছিলাম। যখন কাউকে কল করার প্রয়োজন হত, কেবল তখনই মোবাইল নিতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার হলে প্রশ্ন হাতে নিয়ে একবার পড়েছিলাম। প্রশ্ন পড়ার পর মনে হয়েছিল খুব সহজ। আমি ১০০টি প্রশ্নেরই উত্তর করতে পারব। প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করিনি। সাধারণ জ্ঞান কিংবা মানবিক গুনাবলী কেমন হবে তা নিয়ে টেনশন করিনি। এগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা যারা করে তাদের পরীক্ষায় ভালো করতে পারে না।’
ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব মাকে দিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমার এলাকায় আমার দুইজন বন্ধু ছিল। তাদের ফোন দিলে তারা বলত আমার মা নামাজ পড়ে আমার জন্য দোয়া করছেন। এটি শোনার পর আমার অন্যরকম লাগত। আমার মনে হত আমারা মা-বাবা আমার জন্য দোয়া করতেছেন, আমি তো পারবোই।’
এবারের মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন (৯৮.২১%)। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ১৯২ জন (১.৭৯%) জন। আর বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ জন।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট পাশকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন (৬৬.৫৭%), যাদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন (৩৮.১৩%) এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন (৬১.৮৭%)।