অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীর শেকড় যতই শক্তিশালী হোক না কেন তা টেনে উপড়ে ফেলা হবে।
তিনি বলেন, হাদির ওপর আক্রমণ যে বা যারাই ঘটাক আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। অপরাধীর যত শেকড় থাক না কেন সমস্ত শেকড় টেনে তুলে ফেলা হবে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার মালিথীয়া গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর। যত বাধা প্রাচীর আসুক নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া ও ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম অগ্রদূত ছিল শরিফ ওসমান হাদি। হাদি আততায়ীর গুলিতে আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা তার জন্য বিশেষ মোনাজাত করি তাকে আমরা আমাদের প্রার্থনায় রাখি।
অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে এমপি প্রার্থী হচ্ছেন জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আগামী দিন আপনাদের সঙ্গে খুব অচিরেই দেখা হবে। আমি সবকিছু ছেড়ে, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে আপনাদের কাছে আবার ফিরে আসব। একজন ভোটপ্রার্থী হিসেবে যখন ফিরে আসব আপনাদের সঙ্গে আবার আমার কথা হবে। সুখ-দুঃখের কথা হবে, আনন্দের কথা হবে। আমি যেন আপনাদের মাঝে এসে আমার সততা-নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে আপনাদের সেবা করতে পারি।
এ সময় ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারী মোল্লা, খুলনা বিভাগীয় কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঝিনাইদহ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ওসমান আলী বিশ্বাস, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম হিরো, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।