বুলগেরিয়ার জলসীমায় বিকল হয়ে পড়ে থাকা একটি জাহাজে চারদিন ধরে আটকে থাকা এক বাংলাদেশিসহ ১০ জন নাবিককে হেলিকপ্টারযোগে উদ্ধার করেছে বুলগেরিয়ান কোস্ট গার্ড।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ও তার আগের দিন মিলিয়ে টানা দুই দিনের অভিযানে নাবিকদের উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমও)-এর সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নাবিকের নাম মাহফুজুর রহমান। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটির এক নাবিক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার বুলগেরিয়ান কোস্ট গার্ড অসুস্থ নাবিকসহ তিনজনকে হেলিকপ্টারযোগে উদ্ধার করে। পরদিন সোমবার মাহফুজুর রহমানসহ বাকি সাতজনকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটকে পড়া নাবিকদের বিষয়টি বাংলাদেশ মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বুলগেরিয়ান কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর কৃষ্ণসাগরে তেল পরিবহনকারী জাহাজ এমটি কায়রোস ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই জাহাজে চার বাংলাদেশিসহ মোট ২৫ জন নাবিক ছিলেন। হামলার পর জীবিত নাবিকদের উদ্ধার করে তুরস্ক কোস্ট গার্ড। উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নাবিকদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।
এদিকে উদ্ধার হওয়া ২৫ জন নাবিকের মধ্যে বাংলাদেশি নাবিক মাহফুজসহ ১০ জনকে পরবর্তীতে জাহাজটি উদ্ধার ও নিরাপদে তীরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আবারও জাহাজে পাঠানো হয়। তারা ইস্তাম্বুলের অ্যাংকরেজ এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
তবে গত ৪ ডিসেম্বর বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি ভাসতে ভাসতে বুলগেরিয়ার উপকূলে চলে যায়। হামলার ঘটনায় জাহাজটির ইঞ্জিন সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়ে। অচল জাহাজটিতে নাবিকরা চরম বিপদের মধ্যে ছিলেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি নাবিক মাহফুজুর রহমান।