Image description

মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারে দুই নিম্নআয়ের দোকানদারের হাতে অস্বাভাবিক পরিমাণ ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ ব্যবহারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এই বিল পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

দোকানঘর ভাড়া নিয়ে চা–পান বিক্রি করেন বাদশা ব্যাপারী। দোকানে একটি ফ্যান আর একটি বাতি ছাড়া আর কিছুই নেই। সাধারণত মাসে দুই–তিন শ টাকা বিল আসলেও, এই মাসে (নভেম্বরের বিল) তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকা। হতভম্ব বাদশা বলেন, “এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। অফিসে ফোন করলে শুধু গিয়ে দেখতে বলে।”

একই বাজারের খাবারের দোকানি শহীদ খানও পেয়েছেন আরেক অস্বাভাবিক বিল — ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। অথচ তার দোকানে ব্যবহার হয় দুটি লাইট, একটি ফ্যান এবং একটি ছোট ফ্রিজ। শহীদ বলেন, “বিলটা হাতে নিয়ে মাথা ঘুরে গেছে। দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে এভাবে।”

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক মাস ধরেই বাজারে এ ধরনের ভুল বা ‘ভুতুড়ে’ বিল আসছে। তাদের অভিযোগ—মিটার রিডিং বা বিল প্রস্তুতিতে বড় ধরনের ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক বিল ঠিক করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস জানান, গ্রাহকদের অফিসে এসে বিষয়টি যাচাই করার অনুরোধ করা হয়েছিল। তার ভাষায়, “তারা অফিসে এলেই আমরা আবার রিডিং দেখে বিল ঠিক করে দেব।”

টংগিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসার (ডিজিএম) মো. আব্দুস ছালাম বলেন, “এটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি হতে পারে। অভিযোগ পেলে সরেজমিনে যাচাই করে দ্রুত সমাধান করা হবে।”