অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন বলেছেন, ধান-চালের বস্তার নিচে মরে গেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
একটা মজার অথচ দুর্ভাগ্যের বিষয় বলি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে দুটি দপ্তর। খাদ্য অধিদপ্তর, যারা ধান-চাল-গমের উৎপাদন, মজুদ, আমদানি ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যটি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। যারা সারাদেশের তথা ২০ কোটি মানুষের বাঁচা মরার সাথে জড়িত।
আমি অনেকদিন কাজ করেছি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে। আপনারা যদি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে যান, তাহলে দেখবেন উপদেষ্টা/মন্ত্রী, সচিবসহ সকলেই ব্যস্ত ধান-চাল-গম নিয়ে। দৌড় ঝাঁপ, আলাপ আলোচনা, চিন্তা ভাবনা, মিটিং মিছিল, সব ধান-চাল-গমের বস্তা, সায়লো, মজুদ, বিতরণ নিয়ে।
মন্ত্রণালয়ের অন্ধকার এক কোণে ঘুমিয়ে আছে ফুড সেইফটি অথোরিটির উইং। কোনো কাজ-কাম, আলোচনা, ভাবনা, চিন্তা কিছুই নেই। কিছুই পাবেন না। মন্ত্রী/উপদেষ্টা, সচিব নিরাপদ খাদ্য নিয়ে একটা কথা শোনার বা ভাবার এক মিনিট সময় হবে না তাদের। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ধ্বংস হবার এটাই প্রধান কারণ। তাদেরকে রাখা হয়েছে ধান চালের মজুদ মন্ত্রণালয়ের সাথে। যাদের সাথে খাদ্যের ভেজাল বা নিরাপদ খাদ্যের কোনো সম্পর্কই নেই।
জগতে বিরল। অথচ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ হবে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং অত্যন্ত ক্ষমতাশালী একটি সংস্থা। তারা মরে গেছে ধান চালের বস্তার নিচে। একটাতে টাকা আর একটাতে ফুটা।
এটা ভূমিকা লিখলাম। বলব সন্ধ্যার ভিডিওতে ইনশাআল্লাহ। নিরাপদ খাদ্য নিয়ে এই জাতির ভাগ্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে অতি শীঘ্রই। প্রথম কাজ হচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে এটিকে সরিয়ে নেওয়া।
আরটিভি