হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো টার্মিনালে নিরাপত্তা তল্লাশির সময় ডাক বিভাগের মাধ্যমে রপ্তানির জন্য প্রেরিত একটি চালান থেকে ১ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) বিভাগ। এদিকে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে হ্যাঙ্গার গেইট-৮-এ নিয়মিত নিরাপত্তা তল্লাশির সময় এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) বিভাগের সতর্কতার কারণে রপ্তানি কার্গো থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের সময় সন্দেহজনক প্যাকেটটি শনাক্ত হয়। পরবর্তী পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্যাকেটের ভেতরে লুকানো ছিল নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে (ডিএনসি) জানানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চালানটি জব্দ করেন এবং আইনানুগ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার থাকায় চোরাকারবারীদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তারা আরও জানায়, শূন্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করে এভসেক বিভাগ নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যার ফলেই এ ধরনের মাদক চোরাচালান আটক সম্ভব হচ্ছে।
বেবিচক কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ধরনের সফলতা বিমানবন্দরের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রপ্তানি কার্গো থেকে ৪০০০ ইয়াবা উদ্ধার
এর আগে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে হ্যাঙ্গার গেইট-৮-এ নিয়মিত নিরাপত্তা তল্লাশির সময় এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) বিভাগের সতর্কতার কারণে রপ্তানি কার্গো থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ডাক বিভাগের মাধ্যমে রপ্তানির জন্য বুক করা একটি চালান স্ক্রিনিংকালে এভসেক সদস্যরা সন্দেহজনক কিছু লক্ষ্য করেন। পরে প্যাকেট খুলে দেখা যায় ৪ হাজার পিস ট্যাবলেট, যা স্থানীয়ভাবে ‘ইয়াবা’ নামে পরিচিত। এসব ট্যাবলেট ফ্রান্সের প্যারিসে প্রেরণের উদ্দেশ্যে বুক করা হয়েছিল।
ঘটনার পরপরই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে অবহিত করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেন এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেন।
বেবিচক জানিয়েছে, স্ক্রিনারের সচেতনতা, দায়িত্বশীলতা ও নিখুঁত স্ক্রিনিংয়ের কারণেই চোরাচালানের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তারা আরও বলেন, এই ধরনের সফল অভিযান বিমানবন্দরের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।