বিডিআর হত্যাকাণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় পড়লে এর বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিডিআর হত্যাকাণ্ডসংক্রান্ত অভিযোগ প্রসিকিউশনের কাছে এসেছে এবং এগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যে অভিযোগ এসেছে, প্রসিকিউশন সেগুলো পর্যালোচনা করবে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনও আমরা পড়ব। যদি মনে হয় ঘটনাটি মানবতাবিরোধী অপরাধ বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার উপযুক্ত, তবে এখানে বিচার হবে। নইলে দেশের প্রচলিত অন্য আইনেও বিচার হতে পারে।
তিনি বলেন, কে অপরাধী, কে পরিকল্পনাকারী, কারা মদদদাতা বা সুবিধাভোগী— এসব বিষয় উদ্ঘাটন হওয়ায় বিচারের পথ সুগম হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, একটি ‘অসাধারণ কাজ’ হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানীতে এতগুলো সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা, যা সেনাবাহিনীর মনোবল ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় বড় আঘাত ছিল— তার সঠিক তদন্ত এতদিন আলোর মুখ দেখেনি। এই সরকার সেই বিষয়টি জাতির সামনে তুলে ধরেছে, কারা মাস্টারমাইন্ড, কারা হত্যাকারী, কারা বেনিফিশিয়ারি— সবই স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর মাধ্যমে যারা এতদিন বিচারের বাইরে ছিলেন তাদের বিচার নিশ্চিতের সুযোগ তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে আগের বিচার-প্রক্রিয়ায় কেউ যদি অন্যায়ের শিকার হয়ে থাকেন, সেটিও প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে। তাজুল ইসলাম এটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেন।