Image description

জৈবিক হুমকি, সেটি  প্রাকৃতিক হতে পারে বা ইচ্ছাকৃত  হতে পারে তা দ্রুত সীমান্তকে উপেক্ষা করে এগিয়ে আসছে। এটি ব্যবস্থা বা সিস্টেমকে আক্রান্ত করতে পারে। সেজন্য  জনস্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে  একে অপরকে শক্তিশালী করতে হবে। সোমবার এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শংকর। 
তিনি বলেন, রাষ্ট্র বহির্ভূত শক্তির দ্বারা জৈবিক অস্ত্রের অপব্যবহার আর ‘দূরবর্তী সম্ভাবনা’ নয়। সেজন্য  জৈবিক অস্ত্র কনভেনশনকে (বিডব্লিইউসি) আধুনিকীকরণ করার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, জৈব সন্ত্রাসবাদ একটি গুরুতর উদ্বেগ, যার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পর্যাপ্তভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। জয়শঙ্কর বলেন, জৈবিক অস্ত্র কনভেনশনে এখনও মৌলিক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, একটি সম্মতি ব্যবস্থা, একটি স্থায়ী প্রযুক্তিগত সংস্থা এবং নতুন উন্নয়ন ট্র্যাক করার জন্য  ব্যবস্থার অভাব রয়েছে।
ভারত জৈবিক অস্ত্র কনভেনশনকে আরও শক্তিশালী করতে সমসাময়িক যুগের জন্য পরিকল্পিত যাচাইকরণ এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পদ্ধতিগত পর্যালোচনার জন্য যাতে প্রশাসন উদ্ভাবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলে জয়শঙ্কর  সে কথার উল্লেখ করেন।  তিনি গ্লোবাল সাউথের জন্য জৈব নিরাপত্তা জোরদার করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে জৈবিক অস্ত্র কনভেনশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
জয়শঙ্কর বলেন, ভারত উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এজেন্টদের সনাক্তকরণ, দ্বৈত-ব্যবহার গবেষণার তত্ত্বাবধান, গার্হস্থ্য প্রতিবেদন, ঘটনা ব্যবস্থাপনা এবং ক্রমাগত প্রশিক্ষণকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি জাতীয় বাস্তবায়ন কাঠামোরও প্রস্তাব করেছে। ভারত জৈবিক দুর্ঘটনার সময় দ্রুত, ব্যবহারিক এবং মানবিক সহায়তার পক্ষে দাঁড়িয়েছে বলেও তিনি জানান।

জয়শঙ্করের মতে, ৫০ বছর ধরে জৈবিক অস্ত্র কনভেনশন মানুষ রোগকে অস্ত্র হিসাবে প্রত্যাখ্যান করে এই সহজ ধারণার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই কনভেনশনকে আধুনিকীকরণ করতে হবে, আমাদের অবশ্যই বিজ্ঞানের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং বিশ্বব্যাপী শক্তি জোরদার করতে হবে, যাতে সমস্ত দেশ জৈবিক ঝুঁকি শনাক্ত করতে, প্রতিরোধ করতে এবং প্রতিরোধ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, ভারত গ্লোবাল সাউথের বিশ্বস্ত অংশীদার এবং বিশ্বব্যাপী জৈব নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সমর্থক হিসাবে দাঁড়াতে প্রস্তুত।