Image description

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এবার উঠছে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’-এর মামলা। এতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের সময় নেটওয়ার্ক বন্ধ করে গণহত্যার ক্ষেত্র তৈরির অভিযোগ রয়েছে।

তথ্যটি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন- জয় ও পলকসহ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে জয় ও পলকের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের চূড়ান্ত মুহূর্তে ঢাকাসহ সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে আন্দোলন দমানোর পরিকল্পনা করা হয়। এ পরিকল্পনায় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে জয় সরাসরি জড়িত ছিলেন।

তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, হাসিনা ও জয়ের নির্দেশনায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাতে গণহত্যার তথ্য বিশ্বের কাছ থেকে আড়াল করা হয়।

পলক বিভিন্ন সময় জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, ডেটা সেন্টার পুড়ে যাওয়ার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়, তবে পরে তিনি স্বীকার করেন যে, হাসিনার নির্দেশেই তা করা হয়েছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় হাসিনা সরকার। পাঁচদিনের মাথায় ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু করা হয় এবং ১৩ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। এরপর ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা আন্দোলন ঘিরে আবার সরকারের নির্দেশে মোবাইল অপারেটররা দেশজুড়ে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ করে দেয়।

৫ আগস্টের পর প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই সময়ে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে ডেটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারের মাধ্যমে পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেন।

এদিকে ইন্টারনেট বন্ধের মামলার পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ফার্মগেট এলাকায় গণহত্যাসহ কয়েকটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানা গেছে।