Image description

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের গণসমাবেশে পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী শাহিনুর ইসলাম শুভন। 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে শাহবাগ থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শান্তিপূর্ণ মিছিল শাহবাগে পৌঁছালে হঠাৎ করেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় শাহিনুর ইসলাম শুভন পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হন এবং  হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান। দ্রুত তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শাহিনুরের মাথায় ১০টি সেলাই দিতে হয়েছে। তাঁর ওপর সিটি স্ক্যান ও পায়ের এক্স-রে সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, অন্তত দুইদিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া বুটেক্সের ৪৪তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী জিহাদ উল্লাহ নিলয় বলেন, আমরা শাহবাগ থানা রোডে অবস্থান করছিলাম। সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ছিল। হঠাৎ পিছন দিক থেকে গাড়ি নিয়ে পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে। এরপর সামনে থেকে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ—সব মিলিয়ে আমাদের দু’দিক থেকে চেপে ধরে। শিক্ষার্থীরা মুহূর্তেই দিশেহারা হয়ে পড়ে। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই শাহিনুর ভাই আহত হন।

তিনি আরও জানান, আহত হওয়ার পর শাহিনুর আন্দোলনে থাকা বুটেক্স শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা তাকে খুঁজে পান এবং হাসপাতালে নিয়ে যান।

 

বুটেক্সের ৪৩তম ব্যাচের আরেক সাবেক শিক্ষার্থী মো. সাইয়াদুল সাইদ আবীর বলেন, “আজকের বর্বরোচিত হামলা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। সাধারণ পরীক্ষার্থীদের ওপর এমন নির্মম আচরণের দায় কেউ এড়িয়ে যেতে পারে না। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের দাবি জানাই।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে পুলিশ শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে তাদের আটকে দেয়। পরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপ করলে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের শিকার হন।