Image description

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীর সাথে চিফ প্রসিকিউটরের করা মন্তব্য ও আচরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানারকম আলোচনা।

গত রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানির সময় চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম মামলার আসামি সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের আইনজীবী নাজনীন নাহারকে উদ্দেশ্য করে কিছু মন্তব্য করেন।

শুনানিতে তর্কের একপর্যায়ে নাজনীন নাহারকে উদ্দেশ্য করে তাজুল ইসলাম বলেন," আপনি চুপ থাকুন। কথা বলবেন না। আপনাকেও আসামি করা হতে পারে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি।"

বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওইদিনের শুনানি নিয়ে প্রতিবেদনেও মি. ইসলামের এসব মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে।

শুনানিতে মেজর জেনারেল (অবঃ) জিয়াউল আহসানের আইনজীবী নাজনীন নাহার অভিযোগ করেন, যথাযথ আইন অনুসরণ না করে এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে আসামি মেজর জেনারেল (অবঃ) মি. আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এজন্য গুম সংক্রান্ত কমিশনের একজন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।

ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে এই তর্ক-বিতর্কের বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই এসব নিয়ে করা প্রতিবেদন শেয়ার করে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মন্তব্য করছেন।

তাদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চলার সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসামিপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মামলায় অভিযুক্ত করে দেওয়ার মতো বক্তব্য কতটা স্বাভাবিক?

শুনানিতে ঠিক কী ঘটেছিল?
গত রোববার মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার আসামি মেজর জেনারেল (অবঃ) জিয়াউল আহসানের আইনজীবী নাজনীন নাহারের করা চারটি আবেদনের শুনানি ছিল।

সেদিন শুনানিতে মিজ নাহার ট্রাইব্যুনালকে জানান, তার মক্কেলকে সেফ হাউজে জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়ে প্রসিকিউশন বা তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে তাকে অবহিত করা হয়নি।

আইনানুযায়ী আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার আইনজীবীকে থাকার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। পাশের একটি কক্ষে থেকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। তবে আদালতের আদেশে এই বিষয়টি উল্লেখ করা থাকে।

আইনজীবী মিজ নাহার ট্রাইব্যুনালকে বলেন, "আমাকে জানানো হয়নি, আমাকে ভেতরে যেতে দেওয়া হয়নি।"

আসামি মি. আহসানকে সেফ হাউজে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানানো হলে, কারা কর্তৃপক্ষকে তার আইনজীবীকে অবহিত করতে বলেন তিনি।

পরে কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ওই আদেশ সংগ্রহ করে জিজ্ঞাসাবাদের দুইদিন উপস্থিত ছিলেন বলে জানান মিজ নাহার।

সেইফ হাউজে যে কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সেখানে একটি কাঁচের বিভাজন তৈরি করে একপাশে আইনজীবীরা এবং অপর পাশে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে দুইপাশের কোনো কথা শোনা যায় না।

কিন্তু সেইফ হাউজে জিজ্ঞাসাবাদের দিন আইনজীবী মিজ নাহারকে ওই কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং পাশের আরেকটি কক্ষে বসতে বলা হয় বলে জানান তিনি।

একইসাথে, মি. আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আইন অনুসরণ করা হয়নি ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

রোববার ট্রাইব্যুনালকে আইনজীবী মিজ নাহার জানান, তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা বা প্রসিকিউশনের লোকজনের বাইরে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য নাবিলা ইদ্রিসও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

আইনজীবী মিজ নাহার ট্রাইব্যুনালকে বলেন, মি. আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় মিজ ইদ্রিস তাকে বলেন, " আপনি তো জানেন যে এটার সাজা কি? আপনার সন্তান তো (মেয়ে) এতিম হয়ে যাবে।"

আসামির আইনজীবী মিজ নাহার তার করা আবেদনের বিষয়ে বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ইনভেস্টিগেশনের যে রুলস আছে, অ্যাক্ট আছে এগুলো যেন অনুসরণ করা হয় এটাই ছিল আমার আবেদন।"

তবে, আইনজীবী নাহারের দাবি ট্রাইব্যুনাল আইনাযায়ী, নাবিলা ইদ্রিস প্রসিকিউশন টিমে না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় থাকতে পারেন না।

এমনকি সেদিন শুনানিতে আইনজীবী নাহার তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদ 'অবৈধভাবে' রেকর্ড করার অভিযোগও করেন।

এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম মিজ নাহারকে চুপ থাকতে বলেন।

"আপনি চুপ থাকুন। কথা বলবেন না। আপনিও আসামি হতে পারেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি " এমন কথা বলেন তাজুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, আসামি জিয়াউল আহসানের আইনজীবী নাজনীন নাহার তারই আপন বোন।

এ সময় ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার চিফ প্রসিকিউটরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আইনজীবী হিসেবে মিজ নাজনীন ট্রাইব্যুনালে শুনানি করছেন।

নাবিলা ইদ্রিসের আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের কাছে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তথ্য উদ্‌ঘাটনের জন্য ভুক্তভোগীদের আনেন তদন্ত কর্মকর্তারা। আর নাবিলা ইদ্রিস (গুমের) ঘটনা সম্পর্কে জানেন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে নাবিলা ইদ্রিসের সাথে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

শুনানির এক পর্যায়ে আসামি জিয়াউল আহসানকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেন চিফ প্রসিকিউটর মি. ইসলাম।

মি. আহসানের বিরুদ্ধে বলপূর্বক গুমের অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "প্রায় এক হাজার মানুষ হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন তিনি এবং তাদের পেট কেটে বুড়িগঙ্গায় মরদেহ ফেলে দিয়েছিলেন।"

মি. আহসানের পক্ষে একজন বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া সংক্রান্ত কাগজে তার স্বাক্ষর নিতে দেওয়ার অনুমতি চান ট্রাইব্যুনালের কাছে। পরে তাকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়।

এছাড়া, মি. আহসানের দুইটি টেলিফোনের কথোপকথন চেয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে আবেদন করলে তারা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

এ বিষয়ে অনুমতি চাইলে ওই আবেদনটি "কেপ্ট ইন রেকর্ড বা নথিতে সংরক্ষণ" করার কথা জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে, চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামকে রোববারের শুনানিতে বাকবিতণ্ডার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্তব্য করতে রাজী হননি।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "আদালতের মধ্যে অনেক কিছুই হতে পারে। এই প্রসঙ্গে আমি কোনো কথা বলবো না।"

আসামির আইনজীবী মিজ নাহারকেও আসামি করা হতে পারে এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, "কোর্ট রুমের ভেতরে যা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে বাইরে আমি এ বিষয়ে কোনো কমেন্ট করতে প্রস্তুত না।"

অন্যদিকে, আসামি মি. আহসানের আইনজীবী মিজ নাহার ট্রাইব্যুনালে শুনানি চলাকালীন কথোপকথন নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

আইনজীবী মিজ নাহার বলেন, "যে আচরণটা হয়েছে এটা ওপেন কোর্টে হয়েছে এবং কোর্টের সামনেই হয়েছে। কোর্টের সামনে যে আচরণ হয়েছে সেটা নিয়ে কথা বলাটা.... এক ধরনের খারাপ আচরণ। আমি এটা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। কারণ তাহলে কোর্টকে অপমান করা হবে আমার পক্ষ থেকে আমি মনে করছি। এটা যদি বাইরে হতো সে উত্তরটা আমি দিতে পারতাম।"

মন্তব্য না করার কারণ হিসেবে ট্রাইব্যুনালই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মিজ নাহার।

"কারণ কোর্ট কিন্তু তাকে বলেছে যে এটা কোর্ট, আপনি একজন আইনজীবীর সাথে কথা বলছেন। ওইসময় কোর্ট কিন্তু ওনাকে বলেছেন" বলেন মিজ নাহার।

এদিকে, চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামকে রোববারের শুনানিতে বাকবিতণ্ডার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্তব্য করতে রাজী হননি।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "আদালতের মধ্যে অনেক কিছুই হতে পারে। এই প্রসঙ্গে আমি কোনো কথা বলবো না।"

আসামির আইনজীবী মিজ নাহারকেও আসামি করা হতে পারে এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, "কোর্ট রুমের ভেতরে যা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে বাইরে আমি এ বিষয়ে কোনো কমেন্ট করতে প্রস্তুত না।"

অন্যদিকে, আসামি মি. আহসানের আইনজীবী মিজ নাহার ট্রাইব্যুনালে শুনানি চলাকালীন কথোপকথন নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

আইনজীবী মিজ নাহার বলেন, "যে আচরণটা হয়েছে এটা ওপেন কোর্টে হয়েছে এবং কোর্টের সামনেই হয়েছে। কোর্টের সামনে যে আচরণ হয়েছে সেটা নিয়ে কথা বলাটা.... এক ধরনের খারাপ আচরণ। আমি এটা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। কারণ তাহলে কোর্টকে অপমান করা হবে আমার পক্ষ থেকে আমি মনে করছি। এটা যদি বাইরে হতো সে উত্তরটা আমি দিতে পারতাম।"

মন্তব্য না করার কারণ হিসেবে ট্রাইব্যুনালই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মিজ নাহার।

"কারণ কোর্ট কিন্তু তাকে বলেছে যে এটা কোর্ট, আপনি একজন আইনজীবীর সাথে কথা বলছেন। ওইসময় কোর্ট কিন্তু ওনাকে বলেছেন" বলেন মিজ নাহার।

'এটা এমন একটা হুমকি যার আদালতে কোনো স্থান নেই'
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুরু থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে আসছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে হওয়া জামায়াত নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার বিচার এবং রায় নিয়ে যেমন তিনি পর্যবেক্ষণ লিখেছেন, তেমনি বর্তমানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিভিন্ন মামলাগুলো নিয়েও পর্যবেক্ষণ করছেন এই সাংবাদিক।

রোববারের ট্রাইব্যুনালের শুনানির ঘটনাগুলো সোমবার ফেসবুক প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে তুলে ধরেছেন।

রোববারের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের উত্তেজিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বিশ্লেষণ করেছেন।

আসামির আইনজীবীও আসামি হতে পারেন চিফ প্রসিকিউটর মি. ইসলামের এমন হুমকির কথা উল্লেখ করে মি. বার্গম্যান লিখেছেন, "এটা এমন একটা হুমকি যার আদালতে কোনো স্থান নেই''।

এই ঘটনাকে ব্রিটিশ সাংবাদিক মি. বার্গম্যান ২০১৩ সালের একটি ঘটনার সাথে উল্লেখ করেন।

" আইসিটি প্রসিকিউটরদের ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাককে মামলার হুমকি দেওয়া এবং ফলস্বরূপ তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করার ঘটনার কিছুটা প্রতিফলন এই ঘটনা," লিখেছেন মি. বার্গম্যান।

এরকম ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামলাতে আদালত আরো কঠোর অবস্থান নিতে পারতো বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জিয়াউল আহসানকে মেয়ে এতিম হয়ে যাবে বলে যে হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগটি করেছেন তার আইনজীবী, সে সম্পর্কে মি. বার্গম্যান স্ট্যাটাসে লিখেছেন, "এটি একটি গুরুতর অভিযোগ এবং বিষয়টি সত্য কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও দেখতে চাওয়া উচিত ট্রাইব্যুনালের।"

একইসাথে, জিয়াউল আহসান এক হাজার মানুষকে হত্যার সাথে জড়িত বলে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম যে দাবি করেছেন, সেই দাবির স্বপক্ষে তার কাছে প্রমাণ নেই এটা প্রায় নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন মি. বার্গম্যান।

"আদালতে করা এই মন্তব্য অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্য " বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

মানবাধিকার কর্মী ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক অবশ্য বলছেন, আদালতে এ ধরনের ঘটনা যদিও কাম্য নয়, কিন্তু অনেক সময় হয়ে যায়। তবে এটা বিচার কার্যে কোনো প্রভাব ফেলে না।

"ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলার সময় এটা কাম্য না কিন্তু আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, অনেক সময় হয়তা অভদ্রচিত আচরণ বা একে অপরকে দোষারোপ করা- এটা মাঝে মাঝে হয়ে যায়। একটা মামলার বিচার তো দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলে " বলেন মি. মালিক।

তিনি জানান, বিষয়টি কাম্য না হলেও "এ ধরনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, দোষারোপ করা বা হুমকিমূলক আচরণ করা, এটা কাম্য না কিন্তু মামলাতে এটা একেবারেই যে ঘটে না তা না। কোনো কোনো মামলায় এটা ঘটতে পারে।"

এ ধরনের ঘটনার সাথে বিচারকরা অভ্যস্ত উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, "হাইকোর্টে এটা কম হয় ইভেন হাইকোর্টেও হয়। এটা কাম্য না কিন্তু মাঝে মাঝে ঘটে এবং এটা সাধারণত বিচার কার্যে কোনো প্রভাব ফেলে না।"