Image description

পুলিশের সহকারী সার্জেন্ট ও ট্র্যাফিক সহায়তাকারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে দয়াগঞ্জ মোড় ট্র্যাফিক পুলিশ বক্সের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাগুরাগামী বাসের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দয়াগঞ্জ মোড়ে থাকা ৬ জন ট্র্যাফিক পুলিশকে শোকজ করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে আটক করেছে গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ। তারা ট্র্যাফিক সহায়তাকারী বলে জানা গেছে। তবে তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সন্ধ্যায় গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এখন সব কিছুই স্বাভাবিক। চারজন ট্র্যাফিক সহায়তাকারীকে মব থেকে উদ্ধার করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে বেলা ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাগুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় বাস সংকট ও যাত্রা বিলম্বের কারণে শিক্ষার্থীরা বিরক্ত ছিলেন। দয়াগঞ্জ মোড়ে সিগন্যালে থামলে শিক্ষার্থীরা কয়েকজন নেমে রাস্তা থেকে যানজট মুক্ত করে বাসটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন সেখানে উপস্থিত তিনজন ট্র্যাফিক পুলিশ শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা বাজে আচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে ট্র্যাফিক সহায়তাকারীরা শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা পুলিশের লাঠি দিয়ে হামলা করে বেধড়ক মারধর করেন।

এতে অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী হামলার শিকার হন। তারা হলেন- তালহা জুবায়ের প্রিয়ম, আল আমিন হোসেন, সোহাইল, মোহন, মোসাব্বির, চৈতি ও মোহন খন্দকার। ঘটনার খবর পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দয়াগঞ্জ মোড়ে গিয়ে অভিযোগযুক্ত তিন ট্র্যাফিক সহায়তাকারীকে ঘিরে রাখেন। এ সময় ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীকে আসতেও দেখা গেছে।

হামলার শিকার সিএসই বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তালহা বলেন, আমাদের বাস দয়াগঞ্জ মোড়ে ট্র্যাফিক জ্যামে ছিল। এ সময় আমাদের বাসের কিছু বড় ভাইরা ট্র্যাফিকে দায়িত্বরত কয়েকটা ছেলেদের বলছে যে বাসটা ছেড়ে দিতে, তারা বাস ছেড়ে দেওয়ার পর হঠাৎ আমাদের ভাইদের ওপর আক্রমণ করে। পড়ে আমরা বাস থেকে নেমে তাদেরকে সেভ করতে গেলে আমাদের ওপরও আক্রমণ করে। আমি গিয়ে দেখি আল আমিন ভাইকে মারতেছে, তো আমি ঠেকাতে গিয়েছিলাম, আমাকেও মারছে। তারা পুলিশের লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে, আর পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে ছিল।

হামলার শিকার একাউন্টিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন হোসেন বলেন, আমাকেসহ ৪/৫ জনের ওপর হামলা করে। ব্ল্যাক হুডি পরা লোকটি আমাদের পুলিশের লাঠি কেড়ে নিয়ে মারধর করে। আমাকেসহ সোহান ভাই, সোহাইল, আল আমিন হামলার শিকার হন। যেখানে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।