Image description
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে গুম করে মানুষকে হত্যা এবং লাশের পেট কেটে নদী-নালায় ফেলে দেওয়ার শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

 

 

আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের একথা জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ব্যক্তি হিসেবে দেশে সবচেয়ে বেশি অপরাধের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তিনি শত শত মানুষকে গুম করে হত্যা করেছেন।

 

 

তাজুল ইসলাম বলেন, জিয়াউলের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার কাছে যেসব আলামত ও প্রমাণ এসেছে, তাতে দেখা যায়, তিনি মানুষকে গুম করে হত্যার পর পেট কেটে নদী-নালা, খাল-বিলে ফেলে দিতেন।

 

 

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিরোধী মতের মানুষ দমনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচিত জিয়াউল আহসান। তিনি দীর্ঘদিন র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরে এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা, ট্র্যাকিং এবং গোপন বন্দিশালা বা আয়নাঘর-এ গুম-নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

 

 

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট জিয়াউল আহসানকে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিয়াউলকে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের অধীনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার।

 

 

প্রসিকিউশনের দাবি, র‍্যাবে থাকাকালীন এবং পরে এনটিএমসির দায়িত্বে থাকার সময় জিয়াউল বিরোধী মত দমনে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তদন্ত সংস্থা তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহ করছে।