ঢাকার পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মোক্তার হোসেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পল্লবীর পুরোনো থানার কাছে সি ব্লকের একটি হার্ডওয়্যার দোকানে মুখোশ ও হেলমেট পরা তিনজন ঢুকে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে তাঁকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ সাত-আটজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পল্লবী থানায় মামলা করেন।
ডিএমপি জানায়, মামলার তদন্তে শরীয়তপুরে অভিযান চালিয়ে নজরুল, মাসুম ও জামান—এই তিনজনকে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন এবং জানান যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি মোক্তার হোসেনের কাছেই রয়েছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে পল্লবী এলাকায় একটি গ্যারেজে অভিযান চালায় ডিবি। পুলিশের ভাষ্যমতে, উপস্থিতি টের পেয়ে মোক্তার পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় তাঁকে আটক করা হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাঁকে মারধর করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে আটটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
ডিবি জানায়, আটক করার পর মোক্তারকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে অসুস্থবোধ করলে তাঁকে ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল তাঁকে ছাড়পত্র দিলে আবার ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
ডিবি আরও জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খাবার দিতে গিয়ে তাঁর কোনো সাড়া না পাওয়া গেলে তাঁকে দ্রুত ঢামেকে নেওয়া হয়; সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত্যুর এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) সরওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি। উৎস: আজকের পত্রিকা।