বাংলাদেশ এখন বাস্তব ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। আর এটা কোনো অনুমান নয়, বাস্তবতার কাছাকাছিই। ২৮ মার্চের ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এসেছিল মায়ানমার থেকে, কিন্তু আজকের ৫.৫ মাত্রার কম্পনের উৎস নরসিংদীর ঘোড়াশালেই। বিষয়টি আরও উদ্বেগজনক হলো যে, একই সময় কলকাতাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমধ্যপৃষ্ঠের ছোট ছোট ভূমিকম্পের সংখ্যা দ্রুত বেড়েই চলেছে। ২০১৭ সালে এসব কম্পনের সংখ্যা ছিল ২৮টি, ২০২৩ সালে বেড়ে ৪১, আর ২০২৪ সালে পৌঁছেছে ৫৪-তে। ভূতাত্ত্বিকদের মতে, বড় কোনো ভূমিকম্পের আগে এলাকার এই ধরনের ছোট ছোট কম্পন বেড়ে যাওয়াই সাধারণ লক্ষণ।
বাংলাদেশে শেষ বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯১৮ সালে, মাত্রা ৮। একশো বছর পরে আবার বড় ধাক্কা আসার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে, বিশেষ করে ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপটে।
ঢাকায় যদি ৭ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে, সম্ভাব্য ক্ষতি ভয়ঙ্কর হবে—৭২,০০০ ভবন ধসে পড়তে পারে, যেখানে ২ কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করছে। ভোরে বা ঘুমের সময়ে এমন কম্পন হলে পরিস্থিতি কল্পনাও করা যায় না।
সিলেট, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ঝুঁকি সমান। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এখনই প্রস্তুতি নেওয়া না হলে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না।